দুদকের মহাপরিচালককে বদলি করা হয়েছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ মার্চ ২০১৯, ২০:৩১
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন থেকে এক আদেশে মুনীর চৌধুরীকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের (অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসনের উপসচিব মো. তমিজুল ইসলাম খান সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সরকার মুনীর চৌধুরীকে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ দেয়।
এরপর তিনি দুদকের এনফোর্সমেন্টের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের অভিযানে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
মুনীর চৌধুরী এর আগে বন্দর, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, ভূমি এবং বিদ্যুৎ খাতে দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি সম্পদ উদ্ধার, রাজস্ব আদায় করে ব্যাপক আলোচিত হন। চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, মিল্ক ভিটা ও ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষে দায়িত্ব পালনের সময় তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ভূমি সম্পদ উদ্ধার ও রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন : বিরুদ্ধে নিউজ করলেও হয়রানি করা হবে না : দুদক চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ অক্টোবর ২০১৮
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি নিয়ে যে কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলে ভয়ের কিছু নেই বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ছাড়া দুদক টিকবে না। দুর্নীতির বিষয়ে যে কোন সাংবাদিককে উৎসাহিত করা হবে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটে দুদক বিটের সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিপোর্টাস অ্যাগেইনেস্ট করাপশন ( র্যাক) ও পিআইবির যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ৫৭ ধারা বা ডিজিটাল আইন সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তবে আপনাদের কোন ভয়ের কারণ নেই। দুদকের প্রতিষ্ঠানিক বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। দুদক এসব সংবাদকে স্বাগত জানাবে। দুদকের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবেদনের জন্য কোন মামলা টামলা হবে না। এমনকি এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবেদনের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি। অনুসন্ধান করবেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। নির্ভয়ে আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করবেন।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সত্য প্রকাশ করবেন। আমি আপনাদের পক্ষে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধেই হোক, দুদকের বিরুদ্ধে হোক, কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে; আপনারা লিখবেন। অনুসন্ধানের তথ্য যদি আপনারা না দেন তাহলে প্রতিষ্ঠান চলবে না। আপনারা যদি আমাকে চ্যালেঞ্জ না করেন, আমি শুধরাবো না। আপনারা প্রশ্ন করবেন, কিছু উত্তর দেবো, সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমি দেবো না, দিতেও পারবো না। সাংবাদিকিতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা চলমান থাকুক। আপনারা নিরুৎসাহিত হবেন না।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, নতুন মেধাবিরা ছেলেরা সাংবাদিকতা পেশায় আসছে, এটা আশায় দিক। একটি ভিশনারী সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব জানান দিতে হলে সাংবাদিকতার মাধ্যমে দিতে হবে।
ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকদের ভীতি প্রসঙ্গে পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, সাংবাদিকতা কোন আইন দিয়ে থেমে থাকেনি। আইন করে কোন ভালো কাজকে আটকানো যাবে না। আইন হয় খারাপদের জন্য। কাজেই আইন নিয়ে ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীরেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে দুদক বিটের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাকের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সভাপতি মিজান মালিক প্রমুখ।