নির্বাচনী এলাকায় অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ করা যাবে না
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৬
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বরের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় অনুদান প্রদান, নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং অর্থ অবমুক্তকরণ স্থগিত রাখা বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ-সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা নিতান্ত অবশ্যক হলে জরুরিভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮’ এর অনুযায়ী নির্বাচন পূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ দেয়া বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী দন্ডনীয় হবেন।
এতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি মাশুল দিয়েও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা