১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাদ্যমূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ॥ চড়া মূল্যে খাদ্য কিনছে মানুষ

-

জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে গড় মূল্যস্ফীতির হার কমলেও খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার শহর ও গ্রামে বৃদ্ধি পেয়েছে। শহর ও গ্রামের মানুষকে বেশি দামে খাদ্যসামগ্রী কিনতে হচ্ছে। জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে। যেখানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

বিবিএস বলছে, সার্বিক গড় মূল্যষ্ফীতির হার জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি জুনে ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে। যা তা জুন মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এদিকে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশে। যা জুনমাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হার বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে পৌছেছে। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। এটা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশে। যা জুনে মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে। এছাড়া আমাদের মুদ্রা বিনিময় হার কিছুটা বাড়লেও যেসব পণ্য আমরা আমদানী করি, সেসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ফলে, মূল্যস্ফীতি কমেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদে মসলা পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।

খাদ্য খাতে মূল্য্ফীতির হার কেন বাড়লো জানতে চাইলে বিবিএসের আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাল, মাছ-মাংস, ডিম, পেঁয়াজ, মসলা ও ফলজাতীয় খাদ্যসামগ্রীর মূল্য জুলাই মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণেই খাদ্য খাতে মূল্য্ফীতির হার ঊর্ধ্বমূখী।


আরো সংবাদ



premium cement
শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি

সকল