২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শীতের সাথে বাড়ছে পিঠার দোকান

-

শীত যতই বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পিঠাপুলির কদর। শৈত্যপ্রবাহের ঠাণ্ডায় একটু হলেও মন ও শরীরকে চাঙ্গা করতে মানুষ স্বাদ নিচ্ছে এই শীতের পিঠার। এখন গ্রামের পাশাপাশি পিঠা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই নগরবাসীও। বরিশাল শহরের অলিগলির মুখে ও রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রি করছেন উৎফুল্ল ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছ থেকে কিনে এসবের স্বাদ গ্রহণ করছে নগরবাসী। নগরের মহসিন মার্কেট, চকের পোল, বাজার রোড, বিবির পুকুর পাড়, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে, লঞ্চঘাট, সদর রোড, জেলখানার মোড়, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, বিএম কলেজের সামনে, জিলা স্কুল, চৌমাথা, বটতলাসহ বরিশালের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, অলিগলির মুখে এই পিঠার দোকান দেখা যায়।
নগরীর সদর রোডের পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখা গেছেÑ সাজের পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহ। বিবির পুকুরপাড়ের ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতাদেরও বেশ ব্যস্ততায় সময় কাটছে। বিকেল থেকে নগরের মোড়ে মোড়ে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় চিতই ও ভাপা পিঠার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। চিতই পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করা হয়। এসব দোকানে প্রতি পিস ভাপা ও চিতই পিঠা পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকার পিঠা স্পেশাল। এই পিঠা বিক্রি করেই শীতের সময় অনেকে সংসার চালান। অনেকেই মৌসুমি এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তেমন একটা পুঁজি লাগে না বলে সহজেই এ ব্যবসা শুরু করেন অনেকেই।
চকের পোল এলাকার পিঠাবিক্রেতা আলী জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও রয়েছে ক্রেতার ভিড়। এতে আয় রোজগারও হচ্ছে ভালোই। যেহেতু ভাপা পিঠার ব্যবসা শীতকালে ছাড়া অন্য কোনো ঋতুতে হয় না, তাই এই সময়ই এই ব্যবসার জন্য উত্তম।
ক্রেতা মু. সিফাত জানান, শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। আর যদি হয় ভাপা পিঠা, তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য বন্ধুদের নিয়ে সন্ধ্যায় আসি ভাপা পিঠা খেতে। পিঠা ছাড়া আড্ডা জমেই না।


আরো সংবাদ



premium cement