উত্তমাশার শীতবস্ত্র বিতরণ
- হিমেল আহমেদ
- ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
শীত চলে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবারো শীতের তীব্রতা রেকর্ড হবে আগাম জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। বাংলাদেশে এখনো পুরোপুরি দারিদ্রমুক্ত হতে পারেনি। ফুটপাথে, রেলস্টেশনে, খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো অসহায় মানুষের সংখ্যাও কম নয় দেশে। আমরা যারা সচ্ছল তাদের কাছে শীত যেন একটি আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। শীত মানেই ভ্রমণ, বনভোজন আর আনন্দ উৎসব। কিন্তু অসহায়দের কাছে শীত একটি অভিশাপের মতো। তারাও আমাদের মতোই রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। তাদেরও অধিকার রয়েছে শীত থেকে বাঁচার। এত সংখ্যক শীতার্তদের সেবা করা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। দেশে বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সচ্ছল ও বিত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য সংগ্রহ করে তা শীতার্তদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছে। বগুড়ায় উত্তমাশা নামে একটি সামাজিক সংগঠন সম্প্রতি এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে তা সফল করেছে। প্রায় ৩৫ জন পথশিশুর দায়িত্ব নিয়েছে উত্তমাশা। বিনামূল্যে তাদের শিক্ষা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৯ জন তরুণের সম্মিলিত এই সামাজিক সংগঠনটি সমাজের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছে। সম্প্রতি তারা ৩৫ জন পথশিশুদের হাতে শীতের কাপড়, জুতা, মোজা, পেট্রোলিয়াম জেলি ও জ্যাকেট তুলে দিয়েছে। এত কিছু দেয়া কখনো একার পক্ষে সম্ভব নয়। উত্তমাশার তরুণরা সবাই ছাত্র। সবাই নিজ নিজ উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে এতগুলো শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছে, যা সত্যিই গর্বের। তাদের এই মহৎ উদ্যোগ দেখে অনুপ্রাণীত হচ্ছেন অনেকে। ধীরে ধীরে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। যে যার মতো পারছেন সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। উত্তমাশার একজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় উত্তমাশা এই সমাজের প্রতিটি কোনায় যত অসহায় অনাথ ও পথশিশু আছে তাদের সবাইকে তারা শিক্ষা দিয়ে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। দশটা সাধারণ শিশুর মতোই তারা বেড়ে উঠবে। পড়বে, শিখবে, জানবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে। শুধু পথশিশু নয়। সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশেও তারা থাকতে চায়। কিন্তু প্রয়োজন পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা। উত্তমাশার মতো অনেক সংগঠন অসহায় মানুষ ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছে। আমাদের সবার উচিত স্বেচ্ছায় এসব মহৎ ও স্বেচ্ছাসেবী পদক্ষেপে অংশগ্রহণ করা। দিন যাচ্ছে শীতের মাত্রা বাড়ছে। তাই আসুন আমরা সবাই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসি। শীতার্তদের সাহায্য করি। আমাদের একটু সাহায্য তাদের প্রাণ বাঁচাতে পারে। উত্তমাশার মহৎ উদ্যোগগুলোকে সাধুবাদ জানাই। উত্তমাশা মানবতার কল্যাণে আরো এগিয়ে যাক এই কামনা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা