২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি

-

লেবাননসহ কয়েকটি দেশ থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা কিছু দিন ধরেই বাড়ি ফেরার পথে ঢাকায় এসে আটকা পড়ছেন বিমানবন্দরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নানা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ এবং শেষ পর্যন্ত আগতদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট কিংবা ফোনের পর বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি মিলছে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে।
গত কয়েকদিনে প্রবাসীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, নিজের দেশে এসে এভাবে দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে আটকে থাকতে হবে বা হেনস্তা হতে হবে এটি তারা কল্পনাও করেননি। এদেরই একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার জান্নাত বেগম। লেবানন থেকে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে প্রায় ৩৫ জনের একটি দলের সাথে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। শ্রমিক হিসেবে গিয়ে দালাল আর প্রতারকের কারণে নিজের পাসপোর্ট আর পাননি সেখানে গিয়ে। দুই বছর ওই অবস্থায় থাকতে পারলেও শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে।
‘কাগজ নিয়া (ট্রাভেল পাস) ফিরছি। কোনো জায়গায় কোনো ঝামেলা হইল না। বিপদে পড়লাম নিজের দেশে আইসা। পরে আমার ভাই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়া ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ছুটায়া আনছে আমারে।’
তিনি জানান, ‘এয়ারপোর্টে নামার পরপরই তাদের দলটিকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা। আমরা নাকি রোহিঙ্গা। কত সালে গেছি। কেন গেছি। এমন সব উল্টাপাল্টা কথা। এত যন্ত্রণা লেবানন, দুবাই এয়ারপোর্টেও হয়নি। রাত ৩টায় নাইমা পরদিন রাত ৯টায় ছাড়া পাইছি। শেষ পর্যন্ত সারাদিন আটকে থাকার পর তার ভাই ও স্বজনরা এলাকার চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিয়ে পরদিন রাত ৯টায় তাকে নিয়ে বাড়ির পথ ধরতে পারি।’
জান্নাত বেগমের মতো এমন অনেকে প্রতিদিনই আসেন যাদের কার্যত কোনো পাসপোর্ট নেই। কারণ দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার পর তাদের দালালরা আর পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি। দূতাবাসের মাধ্যমে ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেও গত কিছু দিন ধরে বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি কখনো কখনো একদিনও প্রবাসী কর্মীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময় নিরাপত্তা তল্লাশি বা নিরাপত্তা জোরদারের নামে বিমানবন্দরের ঢুকতে বিদেশগামীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
আর বিদেশ ফেরতরা এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে প্রবাসী নারীকর্মীরা। গত কয়েকদিনে বহু প্রবাসী পাসপোর্ট বা যথাযথ ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অসহনীয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। নানা ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ, খাবার পানির সঙ্কট, ভ্রমণ ক্লান্তি সব মিলিয়েই একটা বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক হিসেবে কোনো জঙ্গিও যেন না আসতে পারে বা ট্রাভেল পাস পেতে না পারে সেটাও যাচাই হোক, কিন্তু অযথা বিদেশ ফেরতদের হয়রানি বন্ধ হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অন্তত ৫০ জন বিভিন্ন দেশ থেকে গিয়ে সিরিয়া আর ইরাকে আইএসের সাথে জড়িত হয়েছিল, যাদের ফরেন টেররিস্ট ফাইটার বলা হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ বিশেষ করে সিরিয়ার আশপাশের দেশগুলো থেকে আসা প্রবাসীদের বিষয়ে এ জন্যই বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে ‘না’ বলুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন উসাইন বোল্ট ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে

সকল