২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফাল্গুনের ছায়ায়

-

ফাল্গুনের বৈরী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সে সাথে সন্ধ্যের পর ঝিঁঝিঁ পোকারাও অনর্গল ডাকতে শুরু করেছে। নির্জন রাতে মাঝে মধ্যে কয়েকটি ব্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করে চেঁচিয়ে ওঠে। সুমসাম নীরবতার মধ্যে এদের কোলাহল কোথাও টেনে নিয়ে যায়। যেন কোনো অচিনপুরে। এ ফাল্গুনের হাওয়া গায়ে এসে লাগলেই মনটা আনচান করে ওঠে। মনের ভেতর বেজে ওঠে রিমিঝিমি শব্দ। নাকে লাগে মাতাল করা আবেশি ঘ্রাণ। তখন মনে হয় ইস! মায়াবী কোনো এক অচিনপুরে যদি হারাতাম! সেখানে না থাক রুপার কাঠি, না থাক সোনার কাঠি কিন্তু থাকবে সুমসাম নীরবতা। থাকবে অনাবিল আনন্দে ভরা ঝিরিঝিরি এমন ফাল্গুনের হাওয়া। থাকবে না স্বার্থের মায়াজালে জড়ানো কোনো রূপরেখা! মন খুঁজে পেত কোনো এক বিষাদহীন ছন্দ।
কিন্তু এমন আর হয় না। ফাল্গুনের এই দিনগুলোতে ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। দু’চোখের পাতা আলগা হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে দু’চোখে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। নির্জনে বসে একা ভাবি। চোখের পলকে উল্টে যাচ্ছে জীবন বইয়ের পাতাগুলো। যেন টেরই পাচ্ছি না। ফাল্গুনের পর ফাল্গুন চলে যায়। এইতো সে দিনের কথা মনে হচ্ছে। কত কিছু বদলে গেছে! আপনজনেরা বদলে যাচ্ছে। পৃথিবী ছেড়ে চলেও গেছে অনেকজন। আমিও চলে যাবো একদিন! এসব ভেবে যখন আমি আনমনে হেঁটে চলি, তখন ফাল্গুনের হাওয়ারা আমার সাথে খেলা করে। ঝিঁঝিঁ পোকারাও সুর তুলে। আমি ভালো আছি এই ফাল্গুনের নীল ছায়ায়। আমি ভালো থাকতে চাই, এই ফাল্গুনের নীল ছায়ায়!
পূর্ব শিলুয়া, ছাগলনাইয়া, ফেনী


আরো সংবাদ



premium cement