নতুন লেখকদের বাতিঘর

প্রথমে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু। শুরুতে বিভিন্ন লেখা প্রতিযোগিতা দিয়ে মাতিয়েছেন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতা দিয়ে অনেক নবীন লেখককে বিনে খরচে বই প্রকাশ করে দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকজনকে পুরস্কার দিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। নতুন লেখকদের বাতিঘর হিসেবে খ্যাতি পাওয়া দাঁড়িকমা প্রকাশনির প্রকাশক আবদুল হাকিম নাহিদ ভাইয়ের কথা বলছি আমি। সচরাচর যেখানে অনেক প্রকাশক খরচ ছাড়া নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করে ঝুঁকি নিতে চান না সেখানে আবদুল হাকিম নাহিদ ভাই একটু ব্যতিক্রম। লেখা মানসম্পন্ন হলে তিনি কোনো সঙ্কোচ ছাড়াই হাত বাড়িয়ে দেন। অর্থাৎ কোনো নতুন লেখক তার শরণাপন্ন হওয়ার পরে ‘না’ শব্দ শুনেছেন এমন সংখ্যা খুবই সামান্য। কাউকে একেবারে বিনে খরচে আবার কাউকে সহজ শর্তে সুযোগ করে দেন তিনি। প্রকাশের অযোগ্য পাণ্ডুলিপি নিয়ে কেউ গেলে তাকেও তিনি নিরাশ করেন না। উপদেশ দিয়ে বসেন যে ‘আরো ভালো করে বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে তারপর আবার দেখা করতে!’ এ বছরের অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে দেশের একঝাঁক প্রতিভাবান লেখকের বই এই প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে। বয়সে তরুণ এই প্রকাশক লাভ-লোকসান নিয়ে তেমন ভাবেন না। তার কথা হচ্ছে ‘আমার কল্যাণে কেউ একজনের প্রতিভাও যদি প্রকাশ পায়, তবে সেটাই আমার লাভ!’ প্রকাশনার পাশাপাশি তিনি নিজেও লেখালেখি করেন। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক বই। ‘সাপ্তাহিক দীপশিখা’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছেন। বই নিয়ে মজার বিজ্ঞাপন তৈরি করে কিছু দিন আগে তিনি সামাজিক মাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। নিত্যনতুন সৃজনশীল আর উদ্ভাবনী চিন্তা সারাক্ষণ মাথায় গিজগিজ করে। তাই সাহিত্যকে ঘিরে নতুন কিছু করার প্রয়াস দেখা যায় আবদুল হাকিম নাহিদের কাছে। এই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত কয়েকটি বই রেকর্ড পরিমাণ বিক্রয় হয়েছে। অন্যান্য বারের মতো অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ সারা দেশের বইমেলাগুলোতে দাঁড়িকমা প্রকাশনীর স্টল থাকবে। তার কথা হচ্ছে, ‘ফেব্রুয়ারি মাস, ভাষার মাস, ভালোবাসার মাস, জ্ঞানের মেলা ও বইমেলা! আসুন সবাই দল বেঁধে বইমেলায় যাই, বই কিনি, বই পড়ি’।