২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সঙ্কটে বাঁশশিল্প

-

প্লাস্টিক সামগ্রীর ভিড়ে একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্প আজ চরম অস্তিত্ব সঙ্কটে। প্রয়োজনীয় পুঁজি, সঠিক উদ্যোগের অভাব ও উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর ন্যায্যমূল্য না থাকায় অনেক কারিগর পাল্টাচ্ছেন তাদের পেশা। দারিদ্র্যতাকে সঙ্গী করে পিতৃপুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে এখনো যারা আগলে ধরে রেখেছেন, তারাও রয়েছেন নানা সমস্যায়। বাজারে প্রচলিত প্লাস্টিক দ্রব্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে তারা হয়ে পড়েছেন কোণঠাসা। ফলে আবহমান বাংলার এ শিল্পের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার বাঁশশিল্পীদের ভাগ্যে নেমে এসেছে দুর্দিন।
একসময় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের মধ্যে বাঁশের তৈরি দ্রব্যসামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা ছিল অনেক। কুলা, ডালা, খাঁচা, চালনি, চাটাই, ডোল, ঝুড়ি, পলো প্রভৃতি বাঁশজাত পণ্যের ছিল ব্যাপক চাহিদা। এ ছাড়া তৈরি করা হতো বাঁশের তৈরি বিভিন্ন শোপিস। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রসারতায় বর্তমানে বাঁশের তৈরি এসব সামগ্রী কেউ ব্যবহার করেন না। এর বিকল্প হিসেবে অনেকেই প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করছেন। সাশ্রয়ী মূল্যসহ টেকসই, উজ্জ্বলতা ও অধিক স্থায়িত্বের কারণে এসব প্লাস্টিক সামগ্রী দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকটা বেশি তা অনেকের জানা নেই। এটি শতবর্ষেও মাটিতে মিশে না। ফলে মাটিতে কোনো ধরনের উদ্ভিদ জন্মায় না। এ ছাড়া এটি তৈরির সময় যে গ্যাস নির্গত হয় তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এর ব্যবহার দিন দিন কমিয়ে বাঁশশিল্পের প্রতি আগ্রহী হওয়া সবার দায়িত্ব।
এক সময়ে পটুয়াখালী জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামীণ জনপদে সমান তালে বাঁশের তৈরি সামগ্রী তৈরি করা হতো। গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক বাঁশশিল্পী ছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বাঁশশিল্পে বিরাজ চরম মন্দাবস্থার কারণে অনেকেই ঝিমিয়ে পড়েছেন। এক দিকে বাজারে চাহিদার অভাব, অন্য দিকে বাঁশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাঁশশিল্পীদের অনেকেই তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। অনেকে বেকারত্বে করাল অভিশাপে পড়েছেন।
বাঁশশিল্পীরা জানান, বাপ-দাদার পেশা বলে আঁকড়ে ধরে আছি। পরিশ্রম বেশি, কিন্তু আয় কম। যার কারণে আগের চেয়ে বর্তমানে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক দিকে যেমন খাবার জোগানের চিন্তা, অন্য দিকে ছেলেমেয়ে পড়ালেখার করানো চাপ। তাই চাহিদা ও মুনাফা ভালো না থাকায় পরিবার চালোনো খুব কষ্টকর।
বিজ্ঞ লোকেরা বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের অন্তর্ভুক্ত বাঁশশিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। নতুবা অচিরেই এ শিল্প হারিয়ে যাবে বাংলার বুক থেকে।
গলাচিপা, পটুয়াখালী

 


আরো সংবাদ



premium cement
চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে

সকল