১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশির ভেজা পথে আমি...

-

সব কিছুর মতো দূর্বাঘাসগুলোও উজাড় হচ্ছে দিন দিন। মাটির রাস্তাগুলো পাকা হচ্ছে। যে রাস্তায় আর মাটির অস্তিত্বই থাকছে না সে রাস্তায় আবার দূর্বাঘাস আশা করা বোকামি। আর দূর্বাঘাস না থাকলে দূর্বাঘাসের আগায় লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ছোঁয়াও পাওয়া যাবে না। কয়েক বছর আগেও শিশিরভেজা দূর্বাঘাসের পথে হাঁটতে গিয়ে পাগুলো ভিজে যেত। শিশিরের ছোঁয়া শীতের আমেজে পূর্ণতা এনে দিতো। আজ আমি সেই হারিয়ে যাওয়া শিশিরভেজা পথ খুঁজে বেড়াই কিন্তু খুঁজে আর পাই না। শিশিরভেজা পথের সাথে আরো খুঁজে বেড়াই হারিয়ে যাওয়া শিশিরমাখা অনেক স্মৃতি। শিশিরসিক্ত পথে এক সন্ধ্যায় আমি আর নাহিদা বেশ লম্বা পথ হেঁটেছিলাম। কুয়াশাভেজা ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলাম দু’জনে। তখন মনে হয়েছিল এ পথ আর এই কুয়াশা যদি শেষ না হতো! এ জীবনটা যদি আরো লম্বা হতো, তবে এমন সুখকর অনেক সন্ধ্যা পেতাম। কিন্তু সুখ আর ভালোবাসাগুলো ছিল কুয়াশার মতোই ক্ষণস্থায়ী। এখন শিশিরভেজা সেই পথগুলোর মতো আমার ভালোবাসাও হারিয়ে গেছে।
দিন দিন হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মতো অনেক কিছুই আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শীতের ভোরে ফুটে থাকা গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেয়ে পড়া মুক্তোর মতো শিশির বিন্দু আজ আর দেখতে পাওয়া যায় না। কারণ আগে শীত এলে ফুলপ্রেমীরা গাঁদা ফুলের চাষ করতে উঠেপড়ে লাগত। কিন্তু আজ ব্যস্ত সবাই ডিজিটালের ছোঁয়া নিয়ে। ব্যস্ত সবাই ভালোবাসা হারাতে! তাই শিশির বিন্দুর ছোঁয়া পেতে কেউ আর মরিয়া নয়। কুয়াশামাখা সন্ধ্যায় আর কারো ভালোবাসা আসে না।
তবে আমি এখনো মরিয়া হয়ে ছুটে চলেছি হারানো সুখ, হারানো ভালোবাসা আর হারিয়ে যাওয়া সেই শিশিরভেজা পথের সন্ধানে।
পূর্ব শিলুয়া, ছাগলনাইয়া, ফেনী


আরো সংবাদ



premium cement