২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মেঘ পাহাড়ের দেশ দার্জিলিং

-

কোথাও কোনো ঝাঁপিয়ে পড়া ঝরনা ও তার নেচে চলা গর্জন, কোথাও বা ইউক্যালিপটাসের গন্ধে ম ম করছে জঙ্গল, কোথাও শীর্ণকায় খাড়াই পথ, আবার কোথাও মাইলের পর মাইল সবুজ উপত্যকা, হিমালয়ের মাথায় সর্পিল আকারের পথে চলন্ত গাড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অতুলনীয় মোহনীয় দৃশ্য! ভারী মজার সেসব দৃশ্য! মেঘের ভেতর দিয়ে, বাইরে আগস্ট মাসের প্রচণ্ড গরমে পুরো দার্জিলিং যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশাল ক¤পার্টমেন্ট। মেঘের ছোঁয়াÑ যেন হিমেল ঠাণ্ডা বরফ!
নিউ-জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি। তার পর ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে সুকনা স্টেশন পেরোতেই চোখ জুড়িয়ে গেল সৌন্দর্যে। মায়াময় চা বাগানের ভেতর দিয়ে ট্যাক্সি চলছে আপন গতিতে। চা বাগানগুলো অসম্ভব সুন্দরÑ যেন সবুজের সিঁড়ি যা মিশে গেছে আকাশে। আকাশ আর চা বাগানগুলো যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে!
যতই পথ এগোয়, ততই মুগ্ধ হই। ঘুম স্টেশন দেখে অবাক! মেঘ কুয়াশায় যেন ঢাকা ঘুম স্টেশনসহ পুরো দার্জিলিং। এ দৃশ্য পাহাড়েও। কার্শিয়াংর ডাইহিল গার্লস স্কুল, চা বা কমলালেবুর বাগান আর রঙিন আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘার অসামান্য দৃশ্যÑ এক কথায় অপূর্ব! যেন সবুজের জলসাঘর। লম্বা লম্বা ইউক্যালিপটাস বা অন্য প্রজাতির কিছু বৃক্ষ, পাহাড় বেয়ে পড়া স্বচ্ছ সাদা ঝাঁপিয়ে পড়া ঝরনা, উঁচু-নিচু মাইলের পর মাইল সবুজ উপত্যকা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সৃষ্টিকর্তা যেন এসব তৈরি করেছেন আপন মাধুরী দিয়ে। সড়কের পাশে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ফাঁকা ফাঁকা আধা পাকা ঘর বা সুদৃশ্য আবাসিক হোটেল যেন আমাদের দেশের দোকান (টঙ) ঘর। এ দৃশ্য সড়ক পথকে দিয়েছে নান্দনিকতা। বর্ষা যদিও প্রায় শেষ, তবুও ঝরনার পানির পরিমাণ বেশ। এসব দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়!
পাহাড় কেটে আঁকাবাঁকা সড়ক পথ যে মনে করিয়ে দেয় ছবির দৃশ্য। যা দেখে এত দিন কল্পনা করতাম এমন দৃশ্য কী হতে পারে! হিমশীতল মেঘ ছুঁতে ছুঁতে সর্পিল পথে যতই যাচ্ছি রোমাঞ্চ ততই বাড়তে থাকে। আর দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘার অভূতপূর্ব দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। মেঘ যে ছোঁয়া যায় বা মেঘের ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় তা দার্জিলিংয়ে না এলে সেসব কাহিনী রূপকথা বলে মনে হতো। চিমটি কেটে দেখি বাস্তব না দৃষ্টিভ্রম! কী অপূর্ব দৃশ্য! ভোলা যাবে না কোনো দিন! অনেকটা দূরত্বে প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা চড়াই পথ অতিক্রম করে আমরা পৌঁছলাম দার্জিলিং পিকে। ওয়াচ টাওয়ার বা সুউচ্চ হোটেল থেকে দার্জিলিং শহর, কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য, মেঘ আর মাঝে মধ্যে বৃষ্টির মধ্যে শহরটা দেখতে খুবই মনোরম। পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত চা বাগান আর সড়কপথ ধরে হিমালয়ের ট্রয় ট্রেনের লাইন, পাহাড়ের বুক চিরে ছোট ছোট স্টেশনÑ যেন স্বপ্নময় ভুবনে হারিয়ে যাচ্ছি!
পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত ‘ঘুম’ স্টেশন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আপন মনে চলাফেরা বা কাজকর্ম, নির্জন আবাসভূমিতে মাঝে মধ্যে পাখির ডাক বা ট্রয় ট্রেনের ধীর গতিতে ঝমঝম শব্দ পরিবেশকে আন্দোলিত করে। সৃষ্টি হয় রোমাঞ্চকর অনুরণ! পাইনের বন, হাউজিং কমপ্লেক্স, পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুরম্য স্থাপত্য আরো কত কী! ‘টাইগার হিল’ (ওয়াচ টাওয়ার) থেকে দেখা যায় ছোট ছোট জঙ্গল, হিমশীতল মেঘ স্তর আর গাছের ডালে ডালে খাবার খুঁজে বেড়ানো রঙিন বিভিন্ন পাখি, শীতের পোশাক পরে কর্মব্যস্ত পাহাড়ি জনগণ! যেন রঙিন দুনিয়া! ‘টাইগার হিল’ থেকে দেখা যায় সূর্যোদয়ের অপূর্ব দৃশ্য!


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল