২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ পিছিয়ে কেন?

-

২৯ জুলাই ছিল ‘বিশ^ বাঘ দিবস’। বছর যাচ্ছে আর সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমছে! পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন- জঙ্গল ধ্বংসসহ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক বন্যপ্রাণী বহু আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। আবার কোনো কোনো বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ বা বাঘ নিয়ে! পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও আকর্ষণীয় প্রাণী হচ্ছে বাঘ। বাঘ কমে যাওয়ার পেছনে বাঘের খাদ্য ও আবাসস্থলের সঙ্কট, পাচার ও শিকারিদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কর্মকাণ্ডই দায়ী। বিভিন্ন জরিপ বলছে, গত ৪২ বছরে বিশে^র সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। সরকারের বন বিভাগের জরিপে ২০০৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০। একই সংস্থার জরিপে ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৬। বেসরকারি বিভিন্ন জরিপেও মোটামুটি একই তথ্য উঠে এসেছে। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ধীরে ধীরে হলেও কমছে। বিশ^ বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাঘের সংখ্যা বেড়েছে এমন দেশের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ভারত ও নেপাল।
বাংলাদেশের জাতীয় বন হচ্ছে, সুন্দরবন। বিশে^ বাংলাদেশ ‘সুন্দরবনের দেশ’ হিসেবেও অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের জাতীয় বনে জাতীয় পশু থাকে। সুন্দরবনের সৌন্দর্যের প্রতীক ও সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণী বাঘ কমতে থাকলে সুন্দরবন ভালো থাকতে পারে না। সুন্দরবন ও বাঘ একে অপরের পরিপূরক। সুন্দরবন ও এর আশপাশের পরিবেশ এখন বদলে যেতে শুরু করেছে। আশপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্পকারখানা। বনের ভেতর দিয়ে এখন প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় নৌযান চলাচল করছে। ফলে বাঘের স¦াভাবিক জীবনাচরণে সমস্যা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চাহিদা থাকায় লোভী পাচারকারীরা সময়-সুযোগ বুঝে বাঘ হত্যা করছে। সুন্দরবনে বাঘের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনে প্রতিবছর কয়েকটি করে বাঘ হত্যা করা হয়। বাঘ নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিতলে খবরের শিরোনাম হয় : ‘বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ^’ বা ‘এবার টাইগারদের জয়’। বাঘ রক্ষায় আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থেই বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করতে হবে। চোরা শিকারিদের ধরে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশ^ব্যাপী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ জোরেশোরে নেয়া হচ্ছে। ২০১০ সালে রাশিয়ায় ‘বিশ^ বাঘ সম্মেলনে’ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে বিশে^ বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু সত্য হলো, বাংলাদেশ বাঘ রক্ষার সঠিক পথে নেই। সুন্দরবন কেমন আছে তা বোঝা যায় বাঘের সংখ্যা দেখে। যেসব দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে সেসব দেশের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। বাঘ রক্ষার পাশাপাশি বাঘের সংখ্যা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে সুন্দরবন থেকে এই প্রাণী চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
sadonsarker2005@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ফরিদপুরে সেদিন কী ঘটেছিল : বিবিসির প্রতিবেদন ইসরাইলের কাছে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলো অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ ব্যক্তি ভর্তি পাঁচবিবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু স্পেশাল অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, প্রশংসিত দেওয়ানগঞ্জের রবিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা থাই-মিয়ানমার সীমান্ত শহরের কাছে আবারো সংঘর্ষ শুরু : থাই সেনাবাহিনী পাঁচবিবিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

সকল