২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম

-

কোটাবিরোধী আন্দোলনের মুখে গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সব কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। দীর্ঘ তিন মাসেও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। অন্য দিকে ২৭ জুন ‘গৃহপালিত’ বিরোধীদলীয় নেত্রী জাতীয় সংসদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের প্রস্তাব করলে প্রধানমন্ত্রী তাতে জোরালো সমর্থন দেন এবং এ বিষয়ে অনেক সাফাই গান। ৩০ লাখ শহীদ ও লাখ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই কেন? তাদের সন্তানদের স্বীকৃতি নেই কেন? তারা কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না? তাদের প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ কি বৃথা গেছে? বর্তমান তালিকাভুক্ত দুই লাখ যোদ্ধা কি বঙ্গবন্ধুসহ ওইসব যোদ্ধা ও শহীদের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান? আমরা ১৬ কোটি জনতার পরিচয় কি? আমরা কি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম নই?
বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে সম্পূর্ণ বৈষম্যহীন নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ আলাদা করেননি। তার ভাষায়Ñ যারা দেশ স্বাধীনের জন্য ভূমিকা রেখেছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। যারা গাজী হয়ে ফিরেছেন, তারা শুধু মুক্তিযোদ্ধা। যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ উভয়ই। আর যারা বন্দী, শরণার্থী ও আত্মত্যাগী ছিলেন, তারাও একেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর নীতিতে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বিবেচনা করলে দেখা যায়, শহীদের চেয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। সব শহীদই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু সব মুক্তিযোদ্ধাই শহীদ নন। তাই বঙ্গবন্ধু কোটি কোটি মুক্তিযোদ্ধার প থেকে মাত্র ৬৬৯ জনকে খেতাব দিয়েছেন আর লাখ লাখ শহীদের প থেকে মাত্র সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দিয়েছেন। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর নীতিতেÑ শুধু দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা, তাদের জন্য প্রদত্ত ভাতা ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য প্রদত্ত কোটাসুবিধা সম্পূর্ণ অবৈধ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এ অবৈধ তথা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ও কোটার অপবাদ আরোপ, ঐতিহাসিক মিথ্যাচারিতা বৈ কিছু নয়।
প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখে কোটা বাতিল করে এখন বিতর্কিত কোটা বহালে আগ্রহী কেন? তিনি নিজ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদাহরণ টানলেন কেন? তার সন্তান দেশে থাকলে কি কোটা সুবিধা পেতেন? মোটেও না। কারণ তার বাব-মা ও নানা-নানী কারো নামই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও নির্ধারিত। বিদেশের মতো যেকোনো বয়সে চাকরি পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সজীব ওয়াজেদ জয় না পারতেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দাবি করতে, আর নির্দিষ্ট বয়সসীমা বা ৩০ বছরের মধ্যে একটি ভালো চাকরি জোগাড় করতে। মূলত তিনি বিদেশে লেখাপড়ার কারণেই বৈষম্যহীন সফলতা লাভ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ও কোটা বাতিল করে সুস্পষ্ট ঘোষণা বাস্তবায়ন করুন। শিাব্যবস্থা ও কোটা জটিলতায় বঞ্চিতদের কষ্ট লাঘবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪৫ বা ৪০ নির্ধারণ করুন। বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ প্রজন্ম ঘোষণা করুন।
mrmostak786@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ

সকল