১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী - ছবি : ইউএনবি

দেশে করোনাভাইরাসের আগমন ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রথমত, চীনের সাথে বিমান বাংলাদেশের কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট রয়েছে গুয়াংজুতে। তবে সেখানে করোনাভাইরাস নেই। আর করোনাভাইরাস ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিনষ্ট হয়ে যায়। দু-এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও ৩২-এ উঠে যাবে।’

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিমান যাত্রীদের জন্য প্রকাশিত ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ম্যাগাজিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের নাগরিকদের চীন থেকে আনতে যে বিমানটি গিয়েছিল তা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। ‘একটি বিমানকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৬ ঘণ্টা যথেষ্ট, কিন্তু আমরা ওই বিমানটিকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবাণুমুক্ত করেছি। সেই বিমানের ক্রু যারা ছিলেন তারাও ১৪ দিন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যকোনো দেশে যাচ্ছেন না।’

‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। বিমানের যাত্রীরা থার্মাল পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। একটি বিশেষ যন্ত্র বাংলাদেশে আনা হয়েছে, যা একজন যাত্রীর কপালে ধরলেই তার শরীরের তাপমাত্রা বলে দিচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ম্যাগাজিন প্রসঙ্গে মাহবুব আলী বলেন, যেসব পর্যটক বাংলাদেশে আসবেন তারা বিমানবন্দরে এসে এবং বিমানে এ ম্যাগাজিনটি পড়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ‘পর্যটনকে সারা বিশ্বে ব্র্যান্ডিং করার জন্য আমরা অনেক কাজ করছি। প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তাসহ সব সুবিধা রাখা হবে। বিমানে যেভাবে সফল হয়েছি তেমনি পর্যটনে আরও সফল হতে চাই।’

তিনি জানান, পর্যটকদের জন্য উন্নতমানের চারটি গাড়ি কেনা হবে। এসব গাড়ি দিয়ে ঢাকার লালবাগ কেল্লা ও আহসান মঞ্জিলসহ পুরো ঢাকার সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরে দেখা যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানাডা থেকে আরো পাঁচটি বিমান আনা হবে। এর মধ্যে তিনটি আগামী জুনে এবং বাকিগুলো ২০২১ সালে আসবে।

এ সময় করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাব যে বাংলাদেশে কিছুটা পড়বে না তা অস্বীকার করার কিছু নেই।’

তবে সচিব বলেন, বাংলাদেশ ভ্রমণ নিরাপদ এবং করোনাভাইরাসের কারণে মুজিব বর্ষ উদযাপন ও এ উপলক্ষে বিদেশিদের আসতে কোনো সমস্যা হবে না।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement