২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লাখো মানুষ পানিবন্দী

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তা, যমুনা, সুরমা, সুগন্ধা, বিষখালী, যমুনা, বাঙ্গালি, কুশিয়ারা, সারি, লোভাছড়া, কর্ণফুলী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কাচালং, মাইনী ও রাইংক্ষিয়ং নদীতে প্রবল বেগে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলে বন্যার পানি বেড়ে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এসব নদীতে ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এসব খবর পাওয়া যায়।

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জে টানা ৬ দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ টি উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। তবে বে-সরকারি হিসেবে আরো অধিক বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান বানবাসী মানুষ। বন্যার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ৩ লক্ষ টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল ও শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সরকারি ভাবে ১০টি আশ্রয় কেন্দ্র সহ সকল স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর-ধারারগাঁও সড়কে ভেঙে যাওয়ার কারণে শহরের সঙ্গে সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, কুরবান নগর, রঙ্গারচর ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

শনিববার বিকেল পর্যন্ত ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা শহরের আশপাশ এলাকা ছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলার বেশি ভাগ সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে জেলা শহরের সাথে উপজেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নীচু এলাকার ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

২৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারন ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গৌরারং ইউনিয়নের দামপাড়া, ডুলপশি, শাফেলা সহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরে ও উঠানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লোকজন। মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন রুমা বলেন, উপজেলার ১০ টি স্কুলে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গৌরারং ইউনিয়নের বন্যার্তদের জন্য আড়াই টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজ জানান, তাহিরপুর উপজেলা ৭ ইউনিয়নেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তা-ঘাটসহ প্রায় ২৪ শ’ ঘরবাড়ি আংশিক-সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত কয়েকে দিনে প্রায় ৫’শ প্যাকেট শুকনা খাবার ত্রাণ হিসেবে বিতরণ অব্যহত আছে। ৩৯ টন চালের মধ্যে ১৬ টন চাল তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে সব চাল বিতরণ চলমান রয়েছে। বন্যর্তদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য শেল্টার হিসেবে উচু স্কুলগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ক’টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ চলমান রয়েছে। তাছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইসলামপুরের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এতে উপজেলার চিনাডুলী, সাপধরী, বেলগাছা ও কুলকান্দী ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানির প্রচন্ড স্রোতে চিনাডুলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া গ্রামের ১১টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। চিনাডুলী-উলিয়ার বাজার ও গিলাবাড়ী-বামনা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

জামালপুর পাউবো সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বগুড়া অফিস ও সারিয়াকান্দি সংবাদদাতা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে যমুনা ও বাঙ্গালী নদী তীরবর্তী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজির খেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বাঙ্গালী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলো হলো সারিয়াকান্দি সদর, কামালপুর, কুতুবপুর, হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা, চালুয়াবাড়ী, বোহাইল, কর্ণিবাড়ী, কাজলা ।

পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৪০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী।

কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজারের ধলাই নদীর পানি প্রবেশ করায় প্রতিরক্ষা বাঁধে নতুন ও পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫০০ পরিবারের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিকে দায়ী করছেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাত নয়টা থেকে ধলাই নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এ সময় পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। প্রবল পানির কারণে রাত দুইটায় কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামের শ্যামল পাল চৌধুরীর বাড়িসংলগ্ন এলাকার প্রায় ১০০ ফুট পরিমাণ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনে রামপাশা ও কুমড়াকাঁপন আংশিক প্লাবিত হয়। অপরদিকে আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়নের পুরাতন দুইটি ভাঙ্গন উন্মুক্ত থাকায় পানি প্রবেশ করে ঘোরামারা, তিলকপুর, নাজাত ঘোনা, জগনাথপুর, প্রতাবী, কান্দিগাও গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। গ্রামের লোকজন রাতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন। ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা পাউবোর কর্মকর্তা খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, এ এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধসহ পুরো ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে পাথরের ব্লক স্থাপনে একটি প্রস্তাব দুই মাস আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাব পাস হলে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হবে। আপাতত রাতে ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামতকাজ করার জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পানি কমলে কাজ শুরু হবে।

কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, কুলাউড়ার মনু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে নিম্মাঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার আশংকা দিয়েছে উপজেলার হাজীপুর ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে। ইতোমধ্যে হাজিপুর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে মনু নদীর বাঁধ ভাংগার আশংকা দিয়েছে। রেলব্রীজের নীচের মাটি সরে গিয়েও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে মনু রেলব্রীজ।

শনিবার (১৩ জুলাই) মনু নদের পানি বিপদ সীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিশ্চিত করেছে। তবে শুক্রবার রাত এবং শনিবার দুপুরের পর থেকে দিনব্যাপী বৃষ্টিপাত হওয়ায় মনুর বাঁধ ভেংগে বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন কুলাউড়া হাজীপুর, টিলাগাও, শরীফপুর ইউনিয়নের মানুষজন। হাজীপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেংগে গেছে।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল লাইছ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা, হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্ছু মনু নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা, মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নদী ভাঙন ও বন্যা এড়াতে আমরা কাজ করেছি। এখনো বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা জানান, থেমে থেমে অতি ভারী বর্ষণ ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা প্রবল পাহাড়ী ঢলে রাঙ্গামাটির চারটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় চার উপজেলায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।

কর্ণফুলীর শাখা কাচালং, মাইনী ও রাইংক্ষিয়ং নদীতে প্রবল বেগে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পাহাড়ী ঢলে প্রবল স্রোতের কারণে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়িতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে ৯৫ এম এস এলে (মীনস সী লেভেল) অবস্থান করছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জানিয়েছে কাপ্তাই হ্রদের প্রতিনিয়ত পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ির নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। চার উপজেলায় ২০০ আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দূর্গত দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের লোকদের খাবার দেয়া হচ্ছে।

বাঘাইছড়িতে বন্যার্তদের মাঝে জেলা পরিষদ হতে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বাঘাইছড়িতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে নগদ টাকা, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রদান করেন।


আরো সংবাদ



premium cement