১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদযাত্রায় প্রাণ গেল ২২১ জনের, আহত ৬৫২ জন

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অবঃ) প্রতিবেদন প্এরকাশ করেন। - নয়া দিগন্ত

বিগত ঈদুল ফিতরে দেশের সড়ক মহাসড়কে ১৮৫ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ২১২ টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন নিহত ও ৬৬৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অবঃ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির দুর্ঘটনা গবেষণা ও মনিটরিং সেল এই প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে সরকারের সদিচ্ছা ও রেশনিং পদ্বতিতে ছুটি থাকায় ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় সড়ক দূর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩০ মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১০ জুন পর্যন্ত বিগত ১২ দিনে ১৮৫ টি দূর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত ও ৬৫২ জন আহত ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছে। একই সময়ে নৌপথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। উল্লিখিত সময়ে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জন নিহত হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে দূর্ঘটনার জন্য দায়ী কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় বলা হয়, ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রী চাপ। চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। অদক্ষ চালক হাতে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেয়া। ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন। মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন-করিমন, মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল। বিপজ্জনক ওভারটেকিং। বিরতিহীন/বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো। যাত্রীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা এসব দূর্ঘটনার জন্য দায়ী।

অপরদিকে সুপারিশে বলা হয়, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সড়ক বাঁক সোজা করাসহ যানবাহানের ফিটনেস পদ্ধতি ডিজিটাল করা,,অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা,হালকা গাড়ি চালানো লাইসেন্স নিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন এমন চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া,মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা পরামর্শ দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইসমাইল গাজী দেলোয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামারুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল যুবায়ের, অর্থ সম্পাদক সায়মুন নাহার জিদনী প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement