২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আবরারের সেই ছবি এখন ভাইরাল

আবরারের সেই ছবিটি এখন ভাইরাল - সংগৃহীত

২০১৮ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। সেই আন্দোলনে শরীক হয়ে সবাইকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন মঙ্গলবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া আবরার আহমেদ চৌধুরী।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে প্রগতি সরণিতে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার অনেক সংবাদ ছাড়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দিয়েছে কর্মসূচী; সতে রয়েছে নিরাপদ সড়কের জন্য কিছু যুক্তিক দাবী।

ঠিক এমনই এক দাবি নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলেন আবরার। আবরার রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলেন একটি প্লাকার্ড হাতে নিয়ে। যেখানে লেখা ছিল, ‘হ্যালো হানি বানি, চলো আইন মানি’। এই দাবি নিয়ে রাস্তায় দাড়ানো আবরার এখন কবরে। বাবা-মার স্নেহমাখা বন্ধন ছেড়ে চলে গেছেন অনেক দূরে। মঙ্গলবার তার এই ছবিটি পোষ্ট করা করে ভাইলা হয়ে পরে।

প্লাকার্ড হাতে আবরার ছবিটি ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দিয়ে তাহসিন আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় আইন মেনে চলার আহবান জানানো আবরার আহমেদ চৌধুরীর কবর এটি। পিতা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আরিফ আহমেদ চৌধুরীকে বইতে হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু নিজ সন্তানের লাশ। রিপাবলিক অব চেতনায় ইতিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অক্ষমরা আবরারের নামে ফুটওভারব্রিজ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সম্ভবত আরও আবরারদের সড়ক পথে করুন মৃত্যু অসহায়ের মত দেখতে হবে।’

বিপুল হাসান নামের একজন লিখেছেন, ‘আর কতো’। মাহমুদ মানজুর নামের একজন লিখেছেন, ‘নিজেই নিজের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলার বাইরে আর কি কিছুই করার আছে আমাদের?’

আরো পড়ুন : চিরনিদ্রায় শায়িত আবরার, দুর্ঘটনাস্থলে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস মেয়রের
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৯ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসচাপায় মারা যান আবরার। বিইউপির ছাত্র আবরার মালিবাগে নিজস্ব বাসায় থাকতেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুর সেনানিবাসের মধ্যে বিইউপি এডিবি গ্রেড গ্রাউন্ড মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫, এডিবি গ্রেড মসজিদের ইমাম মওলানা তাজুল ইসলাম এতে ইমামতি করেন।

এ সময় আবরার আহমেদের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী, বিইউপির ভিসি মেজর জেনারেল মো. এমদাদ-উল বারী, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আবরার আহমেদের সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আত্মীয়-স্বজন জানাজায় অংশ নেন।

পরে দাফনের জন্য আবরারের লাশ বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

আবরার নিহতের ঘটনায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা-গুলিস্তান রুটের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


পরিস্থিতি সামাল দিকে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে ঘটনাস্থলে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেই আশ্বাস উপেক্ষা করে এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।

সু-প্রভাত বাসের চাপায় নিহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে চলা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

বেলা ১১টার দিকে প্রগতি সরণির রোডের নর্দ্দাতে দুর্ঘটনা স্থলে মেয়র আসলে বিইউপির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিক লিখিতভাবে ১২ দফা দাবি পেশ করেন। মেয়র ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান শিক্ষার্থীদের।

১২ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-

১. ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক হেলপার ও মালিকের ফাঁসি।

২. সুপ্রভাত ও জাবালে নূরসহ যেসব বাস আজ এবং এর আগে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল।

৩. বাস চালক ও হেলপারের ডোপ টেস্ট করতে হবে।

৪. বাসসহ গণপরিবহনের চালক হেলপারের আইডি কার্ড ভিজিবল করা।

৫. বসুন্ধরা আবাসিক/ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিংসহ নিহত আবরারের ফুটওভার ব্রিজ করতে হবে দুই মাসের মধ্যে।


পরবর্তীতে গুছিয়ে ৮ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো-

১. পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এবং প্রতি মাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে।

২. আটক চালক ও সম্পৃক্ত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩. আজ থেকে ফিটনেস বিহীন বাস ও লাইসেন্স বিহীন চালককে দ্রুত সময়ে অপসারণ করতে হবে।

৪. ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল স্থানে আন্ডারপাস, স্পিড ব্রেকার এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

৫. চলমান আইনের পরিবর্তন করে সড়ক হত্যার সাথে জড়িত সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৬. দায়িত্ব অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ী অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্টপ এবং যাত্রীছাউনি করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং

৮. ছাত্রদের হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘাতক সুপ্রভাত বাস ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৪১৩৫ চালককে আটক করা হয়েছে। চালকের নাম সিরাজুল ইসলাম (২৯)। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় হেলপার পলাতক রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল