২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাঙ্গামাটিতে নির্বাচন নিয়ে রক্তপাতের আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বন্দুকধারীদের গুলিতে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনার পেছনে কারা থাকতে পারে সেসম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

রাঙ্গামাটির স্থানীয় সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে জানান আহতদের শুরুতে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতজনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে সেবিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও দীর্ঘদিন পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে জানান জনসংসহি সমিতির চুক্তির বিরোধীতাকারী ইউপিডিএফ'এর একটি অংশ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ঐ অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘাত চলছে বলে জানান সুনীল কান্তি দে।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পাহাড়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির আধিপত্য ছিল। তখন চুক্তির বিরোধীতা করে ইউপিডিএফ নামের একটি দল গঠিত হয়।

সুনীল কান্তি দে জানান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে তা আশঙ্কা না করলেও বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদের দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

সুনীল কান্তি দে বলেন, "উপজেলা চেয়ারম্যান পদের দুইজন প্রার্থীই একসময় সরাসরি শান্তিবাহিনীর ফাইটার ছিলেন।"

দু'জনের মধ্যে একজন, যিনি শেষমুহুর্তে নির্বাচন বর্জন করেন, বর্তমানে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাজনীতি করেন।

আর অন্যজন জনসংহতি সমিতির আরেকটি দলের (জেএসএস-এমএন লারমা) নেতা, যিনি এবারের নির্বাচনে বাঘাইছড়ি উপজেলার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সুনীল কান্তি দে বলেন, "এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে হানাহানির ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উপর হামলা হবে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।"

পার্বত্য অঞ্চলে বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পাহাড়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির আধিপত্য ছিল। চুক্তির পরে জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ নামের একটি দল গঠিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের সাথে যখন  লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন তখন পাহাড়ে একটি অংশ সেটির বিরোধিতা করেছিল।

জনসংহতি সমিতির ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠা করেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ।

২০১৭ সালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফও ভাঙনের কবলে পড়ে। সে দল ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।এখন আঞ্চলিক এই দলগুলো নিজেরা আরও বিভক্ত হয়েছে।

সবমিলিয়ে পার্বত্য এলাকায় এখন পাহাড়িদের চারটি সংগঠন রয়েছে। সে এলাকায় অস্থিরতা, হত্যা, চাঁদাবাজী এবং অপহরণের জন্য এসব আঞ্চলিক দলগুলো পরস্পরকে দায়ী করে। পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অনেক নেতা মনে করেন, 'অসৎ উদ্দেশ্য' বাস্তবায়নের জন্য দলগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করা হচ্ছে।

পাহাড়িরা যাতে তাদের অধিকারের কথা বলতে না পারে সেজন্য একটি 'বিশেষ মহলের ছত্রছায়ায়' পাহাড়ী সংগঠনগুলোকে ভেঙ্গে টুকরো-টুকরো করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। চুক্তির পর বিশ বছরেও পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি সমস্যা নিয়ে সমাধানের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী

সকল