২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মন্ত্রীর জামাতার আকস্মিক মৃত্যু, সঠিক কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন

মন্ত্রীর জামাতার আকস্মিক মৃত্যু, সঠিক কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন - সংগৃহীত

ডাক্তার স্ত্রীর নির্যাতনে ডাক্তার স্বামীর মৃত্যু। নিহত ডাক্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকার। তিনি বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা। ডা. রাজনের স্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র মজুমদার বিএসএমএমইউ’র জেনারেল সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক। ডা. কৃষ্ণা মজুমদার নিয়মিতই ডা. রাজনকে নির্যাতন করতেন বলে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকদের মধ্যে বিয়ের পর থেকেই আলোচনা হতো। কিন্তু এটা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেন না নানা কারণে। উল্লেখ্য ডাক্তার রাজন ও ডাক্তার কৃষ্ণার বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। জানা গেছে, এর আগেও একজনের সাথে ঘর করেছেন ডা. কৃষ্ণা।

শনিবার রাত ৩টার দিকে রাজনকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. রাজন কর্মকারকে মৃত অবস্থায়ই গ্রহণ করে। এ ঘটনায় রাজনের মামা প্রথমে ধানমন্ডি থানায় এবং পরে তেজগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়া হয়নি।

তদুপরি রোববার স্কয়ার হাসপাতাল থেকে একদল দুবৃত্ত ডা. রাজনের মৃত দেহ জোর করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ময়না তদন্ত করার দাবি উঠলে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ডা. রাজনের সহকর্মী ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির চিকিৎসক এবং দরকার দলীয় চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসকেরা বাধা দিলে ডা. রাজনের লাশ নিয়ে যেতে পারেনি। সকাল থেকে ডা. রাজনের বন্ধু শুভাকাঙ্খী, সহকর্মী এবং আত্মীয় স্বজনেরা স্কয়ার হাসপাতালে জড়ো হন এবং প্রতিবাদ করছিলেন।

ডা. রাজনের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ডা. রাজন গত শনিবার ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে রাত ১১টা পর্যন্ত কোনো এক রোগীর অপারেশন করেন সহকর্মীদের সাথে নিয়ে। এরপর সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে রাত ১২টার পর বাসায় ফিরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর রাত তিনটায় রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই তিন ঘন্টা সময়ের মধ্যে ডা. রাজনের এমন কি ঘটনা ঘটলো যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ? এটা নিয়ে রাজনের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে তুমুল আলোচনা চলছে।

ডা. রাজন প্রায়ই তার স্ত্রী ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। এর আগে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বেশ কয়েকবার এবং ডা. রাজনকে রাজধানীর পপুলার ও সিরাজুল হক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন আইসিইউ-এ থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। চিকিৎসার সময় রাজনের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এসব নিয়ে ডা. রাজনের আত্মীয়-স্বজনেরা অথবা রাজন নিজেও সুস্থ হওয়ার পর মুখ খোলেননি। আত্মীয়-স্বজন ও তার সহকর্মীরা আগের ঘটনার কারণে সন্দেহ করছেন যে রাতে হয়তো আবার ডাক্তার রাজনকে নির্যাতন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল