২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুড়িগঙ্গায় আরো ৪ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১

বুড়িগঙ্গা নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের তল্লাশি - সংগৃহীত

রাজধানীর সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে সর্বশেষ নিখোঁজ চারজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার। তারা হলেন- ছয় মাসের শিশু জুনায়েদ, মীম (৮) ও দেলোয়ার (৩৮)। এ নিয়ে শনিবার মোট ৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার দুপুরে বুড়িগঙ্গার নদী বন্দর ও ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিহত তিন জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহীনীর টহল পুলিশ।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বৃহস্পতিবার নৌকাডুবির পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে উদ্ধারকারী দল ও নিখোঁজদের আত্মীয়স্বজন আজও নদী এলাকায় লাশ অনুসন্ধান করছিল। এরই একপর্যায়ে দুপুরের দিকে বুড়িগঙ্গার নদী বন্দর ও ওয়াইজঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় জুনায়েদ, মীম ও দেলোয়ারের লাশ পাওয়া যায়।

এর আগে শনিবার সকালে আহসান মঞ্জিল সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা থেকে ভাসমান অবস্থায় কন্যাশিশু মাহী ও শুক্রবার তেলঘাট ও রহমান সাহেবের ডকের মধ্যবর্তী নদী এলাকা থেকে জামশিদা (২০) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।

এদিকে নৌকাডুবির এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন শাহিদা (৩২) নামে এক নারী।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে একই পরিবারের সাত যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা সদরঘাট টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। সেখান থেকে লঞ্চে করে ফরিদপুরে এক বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।

একই সময়ে টার্মিনাল থেকে বরিশালের দিকে ছেড়ে যাচ্ছিল লঞ্চ সুরভী। এ সময় ব্যাকগিয়ার দিতে গিয়ে সুরভী লঞ্চের পেছনে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ হয় ছয় জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পরপরই আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়।

 

আরো পড়ুন : সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি : একই পরিবারের ৬ জন নিখোঁজ
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (০৮ মার্চ ২০১৯)

ঢাকা সদরঘাটে একটি লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া লঞ্চটির পাখার আঘাতে দুই পা বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারের অপর এক সদস্যকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে কামরাঙ্গিরচর থেকে শাহজালাল মিয়ারচর তার পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে নৌকায় চড়ে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন। সদরঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে সুরভী-৭ লঞ্চের পিছন দিকের ধাক্কায় তাদের তাদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় লঞ্চের পিছনে থাকা পাখার আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পাশেই থাকা নৌ পুলিশের একটি টহল টিম শাহজালালকে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠাতে পারলেও অন্যরা সবাই পানিতে তলিয়ে যায়।

শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

নিখোঁজ সদস্যরা হলেন শাহজালালের স্ত্রী শাহিদা এবং তাদের দুই মেয়ে মীম ও মাহি। নিখোঁজ অন্যরা হলেন শাহজালালের ভাই দেলোয়ার, তার স্ত্রী জামশিদা ও তাদের ৭ মাস বয়সী শিশু সন্তান। নিখোঁজের পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ সদস্যগণ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। নিখোঁজ হওয়া পরিবারটির লঞ্চে করে শরীয়তপুর যাওয়ার কথা ছিলো।


আরো সংবাদ



premium cement