১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় সুতার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে

আশুলিয়ার বাইপাইল করিম সুপার মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে আনজির অ্যাপারেলস লিঃ এর সুতার গুদামে আগুনের ছবি - নয়া দিগন্ত

রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় একটি সোয়েটার কারখানার সূতার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া ডিইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইলে করিমসুপার মার্কেটের ৫ম তলা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের আনজির এপ্যারেলেস লিঃ নামে সোয়েটার কারখানার সূতার গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটের নীচতলায় থাকা কেমিক্যাল দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাটের মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে দোকান মালিকদের।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্তকর্তা আবদুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন তারা। তবে সরু গলি ও কাজ করার মতো জায়গা না থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়া আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে একটি অসমর্থিত সূত্র জানায়, কারখানার উত্তর পশ্চিম পাশে শান্তি মা নামে একটি খাবার হোটেল রয়েছে। ওই হোটেলের রান্নাঘর রয়েছে হোটেলের পিছনে। সেখান থেকে আগুন ডাস্টের মাধ্যমে ওই গুদামে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন ধারণা করছেন অনেকে।

আবার কেউ কেউ বলছেন, হয়তোবা কারখানাটির সুতার গুদাম ঘরের অভ্যন্তরে কেউ বিড়ি বা সিগারেট পান শেষে ফেলে রাখার কারণে আগুন লাগতে পারে। আবার কেউ বলেছেন বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

এর আগে শান্তি মা হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে রান্নার কাজে নিয়োজিত এক বাবুর্চি আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছিলেন।

 

আরো পড়ুন : ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে অগ্নিকাণ্ড : ৩০০ গাড়ি পুড়ে ছাই
এনডিটিভি, (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

ভারতীয় একটি বিমানঘাঁটির পার্কিং এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় ৩০০ গাড়ি। গতকাল এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জ্বলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহানকা বিমানঘাঁটিতে চলছে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০১৯’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনী। ৬১টি বিমান সেখানে রাখা হয়েছে। দ্বিবার্ষিক এই আয়োজনে উপস্থিত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের গাড়ি পার্ক করা ছিল খোলা আকাশের নিচে। গাড়ি ছাড়াও রাখা ছিল মোটরসাইকেল।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানঘাঁটির পার্কিং এলাকা ঘাঁটির কাছ থেকে দূরে, রাস্তার অপর পাশে অবস্থিত। অগ্নিকাণ্ড শুরু হওয়ার পরপরই হেলিকপ্টারে করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল তারা। ১২টি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয় দুপুর ১২টার দিকে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, খুব সম্ভবত জ্বলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে শুকনো ঘাসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বায়ুপ্রবাহের গতিও ছিল বেশি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। ভারতীয় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমএন রেড্ডি শুকনো ঘাসের উপস্থিতি এবং সেই সূত্র আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement