চকবাজারে আগুন, রক্ষা পেল মসজিদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৬, আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩২
রাজধানী চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ বেলা সাড়ে এগারটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তারা ৭৮টি লাশ পেয়েছেন।
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং আরো লাশ থাকতে পারে।
ঘটনাস্থলের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছ থেকে সেই বিভৎস মুহুর্তের কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। তিনি জানান, আশেপাশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও মসজিদটি অক্ষত থাকে। আগুনের কারণে মসজিদের গ্লাসগুলো ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়া বড় ধরণের কোন ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়নি।
এছাড়া মসজিদটি থেকে পানি দেয়ার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সহজ হয়েছে।
হঠাৎ বিস্ফোরণের পর মুহুর্তেই আগুন লেগে যায়। বিস্ফোরণস্থল থেকে ২৫-৩০ হাত দূরে থাকা তিনি বলেন, এসময় আগুন কেমিক্যাল গোডাউনে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে থাকা বডি স্প্রের বোতলগুলো বাজি-পটকার ফুটতে শুরু করে। এতে আগুন আর আতঙ্ক একই সাথে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে, জীবন বাঁচাতে মসজিদের ছাদে আশ্রয় নেন কোমলমতি ছাত্রদেরকে নিয়ে। আগুন আশপাশের বিল্ডিংয়ে ছডিয়ে পড়লেও রক্ষা পায় মসজিদ ও একই ভবনে অবস্থিত মাদ্রাসাটি।
আরো দেখুন : পড়ে আছে চার বন্ধুর মাথার খুলি
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৩
রাজধানী চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ বেলা সাড়ে এগারটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তারা ৭৮টি লাশ পেয়েছেন।
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং আরো লাশ থাকতে পারে।
ঘটনার স্থান চকবাজারে পারিবারিক ওষুধের ব্যবসা ছিল মঞ্জুর। চুড়িহাট্টা জামে মসজিদের পাশে ওষুধের দোকান ‘হায়দার মেডিকো’। চকবাজারে ব্যবসা করতেন চার বন্ধু মঞ্জুর, হীরা, নাসির ও আনোয়ার। পাশেই ইমিটেশন গহনার ব্যবসা বন্ধু হীরার, ব্যাগের ব্যবসা ছিল আনোয়ারের। আর নাসিরের ছিল প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবসা।
প্রতিদিন কাজ শেষে হায়দার মেডিকোতে এসে বসতেন তারা। একসঙ্গে কিছু সময় গল্প-গুজব করে নিজ নিজ রুমে ফিরে যেতেন। কিন্তু বুধবার রাতে আর নিজ ঘরে ফেলা হলো না চার বন্ধুর। চকবাজারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে তাদের সব গল্প আর স্বপ্ন। চিহ্ন হিসেবে রেখে গেছে নোয়াখালীর চার বন্ধুর পোড়া চারটি মাথার খুলি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মঞ্জুর ভাই লিটন জানান, তার ভাইয়ের ফার্মেসির সামনেই একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ সময় বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে মঞ্জু ও তার তিন বন্ধু দোকানের ভেতর ঢুকে শাটার লাগিয়ে দেয়। এরপর যখন আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায় তখন আর তারা সেখান থেকে বের হতে পারেনি।
লিটন আরো জানান, বিকেলেই ভাইয়ের সঙ্গে শেষ দেখা হয়। প্রতি রাতে চার বন্ধু মিলে ফার্মাসিতে আড্ডা দিত। বুধবারও তারা আড্ডায় মিলিত হয়। আগুন লাগার পর তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ৩টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে হায়দার মেডিকোর ভেতরে পাওয়া যায় পোড়া চারটি মাথার খুলি। যেহেতু তারা প্রতি রাতে এখানে আড্ডা দিত, সেহেতু চারটি খুলিই বলে দিচ্ছে, এটা তাদের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা