২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গরম ইঞ্জিনে ম্যানহোলের গ্যাস, অতঃপর গাড়িতে আগুন

গরম ইঞ্জিনে ম্যানহোলের গ্যাস, অতঃপর গাড়িতে আগুন - সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে একটি প্রাইভেটকার ও বাসে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ধানমন্ডি ২৭ এবং আসাদগেটের মাঝে সানরাইজ প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সড়কের একটি ম্যানহোলে শ্রমিকরা কাজ করছিল। গাড়িগুলো চলাচলের কারণে গরম থাকে। গরম ইঞ্জিনে ম্যানহোলের গ্যাস একত্রিত হয়ে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। পুড়ে যাওয়া বাসটি ৮ নম্বর রুটের। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ধানমন্ডি ২৭ এবং আসাদগেটের মাঝে সানরাইজ প্লাজার সামনের রাস্তায় হঠাৎ বাস ও প্রাইভেটকারে আগুন দেখতে পাই। সবাই বলছিল যে, নিচে গ্যাসে লাইন লিক হয়ে আগুন লেগেছে।

এ ঘটনার পর থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে আসাদগেট যাওয়ার সড়কটি ঘিরে রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিপরীত দিকে মিরপুর রোডে যানচলাচল করছে।

আরো পড়ুন : সিএনজিতে বাসের ধাক্কা : নিহত ৩
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চিকিৎসক দেখাতে যাওয়ার পথে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন মারা গেছেন। তিনজনই ওই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামপুর থানার পোস্তগোলা ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাচ্চু মিয়া (৬০), তার ছেলে জোবায়েদ (২৮) এবং সৈয়দ আহমেদ (৩০)। নিহত বাবা-ছেলের বাড়ি কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া মুসলিম নগর এলাকায়। নিহত সৈয়দ আহমেদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলায় থাকতেন। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম শেলু মিয়া।


পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছেলেকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য পোস্তগোলার একটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে ছালছাবিল পরিবহনের একটি বাসের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলেসহ তিনজন মারা যান। পরে তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত বাচ্চু মিয়ার ভাই লিটন মিয়া বলেন, ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ইকুরিয়া থেকে পোস্তগোলার একটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঢামেকে গিয়ে তিনি তার ভাই ও ভাতিজার লাশ শনাক্ত করেছেন। এ ছাড়া নিহত সৈয়দ আহমেদের লাশ শনাক্ত করেছেন তার ভাই মো. হুমায়ুন।

এ দিকে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মোটরসাইকেলর ধাক্কায় আব্দুর রাজ্জাক (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি খিলগাঁওয়ে। এই ঘটনায় মোটরসাইকেল চালককে আটক করেছে পুলিশ।


আরো পড়ুন : রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নয়া দিগন্ত অনলাইন (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৫)
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার ভোরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নৈশ প্রহরী কবির হোসেন (৪৫), চা দোকানদার শাহীন (৪২) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী (৪০)।

ভাটারা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শিহাব উদ্দিন জানান, রাতে বাড্ডাগামী দেওয়ান পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ফুটপাতে উঠে একটি চায়ের দোকানে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চা দোকানদার শাহীন ও নৈশ প্রহরী কবিরের মৃত্যু হয়। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হলেও চালক-হেলপার পালিয়ে গেছেন। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কবিরের বাড়ি বাগেরহাট আর শাহিনের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। দু’জনই ভাটারা এলাকায় থাকতেন।

এদিকে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অজ্ঞাতপরিচয় (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় এক নারী আহত হয়ে মালিবাগ-মৌচাক সড়কে পড়েছিলেন। আশপাশের লোকজন ভোরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন। পরে সকাল ৭টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement