২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চিকিৎসার জন্য আমার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন অথচ

আমার আবেদন আমলে নেয়া হয়নি :  খন্দকার মাহবুব

আমার আবেদন আমলে নেয়া হয়নি :  খন্দকার মাহবুব - সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার (গায়েবী) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয় বার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবী। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে হাজিরা দেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান, নিতাই রায় চৌধুরী, ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য আইনজীবী। তবে মামলার সার্টিফাইড কপি না থাকায় আদালত আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি হাজিরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গায়েবী মামলায় আজ (মঙ্গলবার) আমরা আদালতে হাজিরা দিতে যাই। হাইকোর্ট বলেছে মামলার সার্টিফাইড কপি নিয়ে হাজিরা দিতে। আমরা বললাম মামলার সার্টিফাইড কপি পাওয়া যায়নি। তবে আদালতের সামনে মামলার মূল নথি আছে। তারপরও আদালত বললেন, যেহেতু হাইকোর্টের আদেশে মামলার সার্টিফাইড কপির কথা বলা আছে। এরপর আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী হাজিরার তারিখ ধার্য করেন। তিনি আরো বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাব উল্লেখ করে সময় বৃদ্ধির জন্য নিবেদন করি। আমার এ আবেদনও আমলে নেয়া হয়নি। অথচ গত তারিখে আদালত নিজেই রেকর্ড কল করেছিলেন। রেকর্ড থাকলে সার্টিফাইড কপির প্রয়োজন হয় না। এটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।

খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীর পক্ষে মঙ্গলবার আদালতে শুনানি করেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। সাথে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা, মো: মাহবুবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

এ বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী পল্টন থানায় দায়ের করা গায়েবী মামলার একবার হাজিরা দেয়ার কথা। সেখানে ইতিমধ্যেই আমরা দুই বার হাজিরা দিয়েছি। এরপরও মামলার সার্টিফাইড কপি পাওয়ার কথা বলে আরো একটি তারিখ ধার্য করা হয়েছে। অথচ গত ১৫ জানুয়ারি আদালত বলেছিলেন মামলার মূল রেকর্ড দেখে আদেশ দেবেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার আদালতে মূল রেকর্ড ছিল। আদালত সেটা পরীক্ষা করে দেখেছেন সব কিছু ঠিক আছে। এতে আদালত ইচ্ছা করলে আজ হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী হাজিরা সম্পন্ন করতে পারতেন। আবার আসার প্রয়োজন হত না।


আরো সংবাদ



premium cement