২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সাত বছরেও কিনারা হলো না

-

সাত বছরেও কোনো কিনারা হলো না চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার। আদালতের নির্দেশের পর একের পর এক তদন্ত চালিয়েও সাগর ও রুনিকে কারা হত্যা করেছে এখনো জানতে পারেনি তদন্ত সংস্থাগুলো। মামলা তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সাত বছরেও হত্যাকাণ্ডের বিচার না পেয়ে হতাশ সাগর-রুনির পরিবার। সাত বছরেও মামলাটির কোনো কূল-কিনারা না হওয়ায় হতাশায় পরিবারের প্রশ্ন, হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে আর কত সময় লাগবে? বিচার পাওয়ার আশায় আর কত দিন পথ চেয়ে থাকতে হবে। আদৌ কি হত্যার বিচার পাওয়া যাবে?

মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির তদন্তের কোনো অগ্রগতিই নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কিছুই জানান না। মামলার বিচার নিয়ে আমাদের পরিবার হতাশ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন। হত্যাকাণ্ডের সময় মা-বাবার সাথে বাসায় ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান মেঘ।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই মো: নওশের আলম রোমান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে। ৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। এর পর থেকে র‌্যাব তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে রয়েছেন। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

এ দিকে আদালতের নিয়মে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য রয়েছে। তবে এই পর্যন্ত আদালত থেকে ৬৩ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এ দিকে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্তিতে আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ (ডিআরইউ) বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement