২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৪৮ ঘন্টার পরিবহন কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

গণপরিবহ না থাকায় এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছে। - ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন কর্মবিরতি শুরু  হয়েছে। কর্মবিরতির  প্রথম দিনে রাস্তায় সাধারণ পরিবহনের কোনো গাড়ির দেখা মেলেনি। ফলে অফিসগামী ও সাধারণ জনগণকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

এই ৪৮ ঘণ্টায়ও তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরে আরো কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এ কথা বলেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে : সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করা; সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ না করা; ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা; টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য হাসমত আলীসহ মালিক ও শ্রমিক মুক্তি, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ট্রাক টার্মিনাল বা স্ট্যান্ড নির্মাণ করা, গাড়ির মডেল বাতিল করতে হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া, সহজ শর্তে ভারী যানবাহন চালককে ভারী লাইসেন্স দেয়া এবং এর আগ পর্যন্ত হালকা বা মধ্যম লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয়া, সারা দেশে গাড়ির ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং ফুটপাথ, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী শনিবার রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, কর্মরিবতির মধ্য দিয়ে প্রথমে তারা দাবি আদায়ের চেষ্টা করবেন। যদি তা না হয় পরে আরো কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকেরা তাদের দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবে না।

এ দিকে রাজধানীতে গণপরিবহন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীকে। পথচারীদের বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গাড়ির জন্য। পরিবহন শ্রমিকদের বিভিন্ন বাস টার্মিনালে সঙ্ঘবদ্ধভাবে মহড়া দিতে দেখা যায়, যাতে কোনো পরিবহন চলাচল করতে না পারে

 

আরো পড়ুন : অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ
আবু সালেহ আকন
 ০৪ আগস্ট ২০১৮, ০১:৪৯

 

অঘোষিত ধর্মঘটে রাজধানীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ। এতে সারা দেশ হয়ে পড়েছে অচল। নিরাপত্তার অজুহাত তুলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে গতরাত থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, ‘নিরাপদ বোধ করলে আজ শনিবার দিনেও গাড়ি গাড়ি চলাচল করবে।’ গতকাল রাজধানীতেও হাতেগোনা কিছু বাস দেখা গেছে। বেশির ভাগ রুটে কোনো বাস চলাচল করেনি। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকেরা যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেন। নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

রাজধানী ফাঁকা : গতকাল শুক্রবার রাজধানী ছিল গণপরিবহনশূন্য। এমনকি কোনো কোনো এলাকায় লেগুনাও চলাচল করেনি। একাধিক পরিবহন মালিক-শ্রমিক বলেছেন, তারা নিরাপত্তার জন্য গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হননি। ২৯ জুলাই থেকে তারা রাস্তায় নানাভাবে হয়রানি, মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছেন। যে কারণে ভয়ে তারা গাড়ি নিয়ে বের হননি। পরিবহন শ্রমিক নেতা আলী রেজা বলেন, শ্রমিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। যত্রতত্র গাড়ি আটকে ভাঙচুর করা হচ্ছে। লাইসেন্সের জন্য গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে। কিন্তু বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স পেতে যে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় তা কে দেখবে? আলী রেজা বলেন, লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য একজন শ্রমিককে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ঘুষ ছাড়া কোনো লাইসেন্স মেলে না। তারপরও নানা হয়রানি। বিআরটিএর বিরুদ্ধেতো কেউ আন্দোলন করছে না। অনেক চালক আছেন যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাস্তায় গাড়ি চালান; কিন্তু লাইসেন্স মেলেনি।

এ দিকে রাজধানীতে গণপরিবহন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীকে। পথচারীদের বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গাড়ির জন্য। পরিবহন শ্রমিকদের বিভিন্ন বাস টার্মিনালে সঙ্ঘবদ্ধভাবে মহড়া দিতে দেখা যায়, যাতে কোনো পরিবহন চলাচল করতে না পারে। দুপুরের দিকে দেখা যায় কুমিল্লা ও ফেনীগামী কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছেড়ে গেলেও যাত্রাবাড়ী মোড়ে গাড়িগুলো আটকে দেয়া হয়। 
দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ : গত বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানীর সব টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল সকালে রাজধানীর কোনো টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। দুই-একটি বাস টার্মিনালের বাইরে থেকে ছাড়লেও সেগুলো বিভিন্ন স্থানে আটকে দেন পরিবহন শ্রমিকেরা। পরিবহন সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে যেমন গাড়ি ছেড়ে যায়নি; তেমনি কোনো গাড়ি ঢাকায় আসেওনি। চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বা উত্তরাঞ্চলের কোনো গাড়িই ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়নি। আবার সকালে কোনো গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েও আসেনি। ট্রাক ও পিকআপগুলো চলাচলেও বাধার সৃষ্টি করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। গতকাল যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়ায় দেখা যায় পরিবহন শ্রমিকেরা রিকশা চলাচলেও বাধার সৃষ্টি করছেন।

মানুষের চরম ভোগান্তি : এ দিকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানীতে যেমন মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়ে তেমনি ঢাকার বাইরের যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুপুরের দিকে, রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দেখা যায় শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ছুটির দিন হওয়ায় পথচারীর সংখ্যা কম থাকলেও যারাই রাস্তায় নেমেছেন তারা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। আর এই ফাঁকে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ফলে অনেক মানুষ হেঁটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেন। এ দিকে একাধিক মালিক ও শ্রমিক বলেছেন, ২৯ জুলাই থেকে ৫ শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। ওই গাড়িগুলো এখন গ্যারেজে মেরামত হচ্ছে। এই গাড়িগুলো রাস্তায় বের না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে এমনিতেই পরিবহন সঙ্কট থাকবে।
নিরাপদ বোধ করলেই গাড়ি চলবে : সড়কে পরিবহন শ্রমিকেরা নিরাপদ বোধ করলেই তারা গাড়ি চালাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নয়। দেশে শিার্থীদের চলমান আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু সড়কে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাই ‘আমরা যখন নিরাপদ বোধ করব তখন গাড়ি নামাব’। বিকেলে মহাখালী বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনায়েত উল্লাহ এ কথা বলেন। এর আগে মহাখালী বাস টার্মিনাল মসজিদে নিহত ছাত্রী দিয়া খানম মিমের জন্য দোয়া মাহফিলের মিলাদে অংশ নেন এনায়েত উল্লাহ। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম। এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা আইন মেনে গাড়ি চালাতে চালকদের নির্দেশ দিয়েছি। আইন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি আমরা মেনে নেব। নতুন আইনকে আমরা স্বাগত জানাই।’

এ দিকে অনেকেই বলেছেন, অঘোষিত ধর্মঘট দিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা মানুষকে পণবন্দী করতে চাইছেন। এর আগেও যখনই এই সেক্টরের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে নামা হয়েছে তখনই তারা এভাবে অঘোষিত ধর্মঘট ডেকে অচল করে দিয়েছে পুরো দেশ। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না। 

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল পরিবহন সঙ্কটের কারণে বাসযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ঢাকার প্রবেশপথ সাভারে সকাল থেকে মাঝে মধ্যে ১-২টি ছাড়া মহাসড়কে দূরপাল্লার ও লোকাল কোনো বাসই চলাচল করতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা বাস না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। 
মহাসড়কের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, সাভার, নবীনগর, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকে যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় ১-২টি বাস চললেও যাত্রীদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিতে হয়েছে। অনেকেই ঢাকা থেকে আবার অনেকে সাভার থেকে ঢাকায় রিকশা, ভ্যানগাড়ি আবার কখনো হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। রাজশাহী রুটের রজনীগন্ধা পরিবহনের এক শ্রমিক জানান, রাস্তায় নিরাপত্তাজনিত কারণে মালিক পক্ষ আমাদের গাবতলী থেকে গাড়ি ছাড়তে নিষেধ করেছে। 

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট শিমরাইল মোড়ে অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এ সময় তারা দূরপাল্লাসহ সব যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে বাস মিনিবাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন।

দুপুর ১২টায় শিমরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত যাত্রী গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষ করছেন। অনেকে হেঁটে অথবা বিকল্প হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, পিকআপ, লেগুনায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) শরীফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই দূরপাল্লার পরিবহনসহ পরিবহনের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় তারা যানবাহন চালাতে চাচ্ছে না।

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। হঠাৎ যাত্রীবাহী বাস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছিল না কোনো যানবাহনের চাপ। মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে রয়েছে কড়া নজরদারি। অটোরিকশা ও রিকশাই এখন ভরসা যাত্রীদের। সে েেত্রও গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া। গতকাল সকালে সরেজমিন মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুরী, বরংগাইল, পাটুরিয়াসহ একাধিক বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কিন্তু দীর্ঘ সময়েও যাত্রীবাহী বাস না চলাচল করায় অনেকেই কাক্সিক্ষত গন্তব্যে যেতে পারেননি।

এ সময় দেখা যায়, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভিলেজ লাইন পরিবহনের এক বাসচালক জানান, তার বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। তবে বাসের ফিটনেস না থাকায় মালিক তাকে বাস চালাতে নিষেধ করেছেন।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত দেখিয়ে হঠাৎ রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল ফের শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে আন্তঃজেলা রুটের যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসগুলো নিয়মিত শিডিউল অনুযায়ী চলাচল করছে। 

আকস্মিকভাবে বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর রহমান পিটার জানান, শিার্থীদের আন্দোলনের প্রতি আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। তাদের প্রতিটি দাবিই যৌক্তিক। আমরাও শিার্থীদের মতো নিরাপদ সড়ক চাই। কিন্তু ল করা যাচ্ছে, তাদের যৌক্তিক আন্দোলনের মধ্যে একটি গোষ্ঠী জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। কোমলমতি শিার্থীদের ভিড়ে ঢুকে যানবাহন ভাঙচুরসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের অপচেষ্টা শুরু করেছে গোষ্ঠীটি। তাই নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করে দিনের বেলায় আপাতত বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি। 

এ দিকে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন বাসের আগাম টিকিট কেটেছিলেন। টিকিটে তাদের মোবাইল নম্বরও দেয়া ছিল। কিন্তু বাস চলাচল না করার বিষয়টি কাউন্টার থেকে তাদের জানানো হয়নি। সকাল ১০টার পর তারা কাউন্টারে এসে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ। তবে কাউন্টারগুলো থেকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াতকারী বাস চলাচল সকাল ১০টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, রয়্যাল মোড় ও শিববাড়ি মোড়ের পরিবহন কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়। খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা পরিবহন ধর্মঘট চলছে বলে জানান। তবে হানিফ পরিবহনের খুলনা অফিসের স্টাফ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে তারা গাড়ি চালু করবেন।

রংপুর অফিস জানায়, রংপুর থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক ও শ্রমিকেরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসন, গণপরিবহন মালিক, চালক ও শ্রমিক নেতারা। এস আর ট্রাভেলস বাসের চালক খাদেমুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রংপুর আসার পথে রাস্তায় বাস আটকিয়ে আমাদের লাঞ্ছিত করেছে আন্দোলনকারীরা। বগুড়ায় বাসে আগুন দেয়ারও চেষ্টা করেছিল। অনুরোধ করে রক্ষা পেয়েছি। পথে নিরাপত্তা নেই, তাই বাস চালাচ্ছি না। আগমনী এক্সপ্রেসের চালক শহিদ মিয়া জানান, কেউ বাস চালাচ্ছে না বলে আমরাও চালাচ্ছি না। এস আর ট্রাভেলসের রংপুর কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মাজেদুর রহমান রিপন বলেন, বাস মালিকদের হলেও পথে বাসটির দায়িত্ব চালকের। নিরাপত্তার অভাবে তারা বাস চালাচ্ছে না। ফলে রংপুর থেকে আমাদের কোনো বাস চলছে না।

রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, আমিও জানি না কাদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আবু আজগর আহমেদ পিন্টু বলেন, বাস বন্ধের ব্যাপারে আমাদের সমিতির সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। 

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোখতারুল ইসলাম বলেন, বাস মালিক, শ্রমিকেরা কেন বাস বন্ধ রেখেছেন, তা জানি না। বাস না চলায় স্ট্যান্ডগুলোতে অনেক যাত্রী অবস্থান করছেন। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ দিয়ে এখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।

ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার পর এবার ট্রাক চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। সকাল থেকে ফরিদপুর থেকে দূরপাল্লার কোনো ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফরিদপুর থেকে ঢাকামুখী সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর গতকাল থেকে ঢাকাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১১ জেলার সাথে দূরপাল্লার সব বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জুবায়ের জাকির জানান, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাস শ্রমিকেরা বাস চালানো থেকে বিরত রয়েছেন। ফরিদপুরের সাথে ঢাকাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা সারা দেশেরই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ বাস চলাচল শুরু হবে তা বলতে পারছি না।
এ দিকে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তেই বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এরপর সবার সিদ্ধান্তেই বাসের পাশাপাশি ট্রাক চলাচলও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ দিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে দুর্ভোগ উপেক্ষা করে বিভিন্ন মাধ্যমে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, সারা দেশের মতো কুষ্টিয়ায় চলছে পরিবহন ধর্মঘট। গতকাল সকাল থেকে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা, খুলনা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে তা আটকে পড়ার কারণে সকাল ৯টার পর থেকে জেলার সর্বত্র চলছে পরিবহন ধর্মঘট। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এস এম রেজাউল ইসলাম বাবলু জানান, সকালে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর এসব যাত্রীবাহী বাস বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। ফলে সেসব বাস কুষ্টিয়ায় ফিরে আসে। তা ছাড়া ঢাকার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করায় আমরা জেলার সর্বত্র যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছি।

এ দিকে আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রীদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অনেকে বাড়িতে ফিরে গেলেও অনেককে আবার ট্রেনের জন্য কুষ্টিয়া এবং পোড়াদহ স্টেশনের দিকে যেতে দেখা গেছে। পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সকাল থেকে পোড়াদহের ওপর দিয়ে চলাচলকারী সব মেইল ট্রেন ও আন্তঃনগর ট্রেনে অস্বাভাবিক ভিড় লক্ষ করা গেছে। 
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীতে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। সকাল থেকে নোয়াখালী-ঢাকা, ঢাকা-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-নোয়াখালী, নোয়াখালী-চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী-কুমিল্লার উপকূল বাস সার্ভিসসহ দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। এ দিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় জেলার ৯টি উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের নিরাপত্তার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। গতকাল সকাল থেকে জেলা শহরের সব ক’টি বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এই এলাকার যাত্রীরা।

পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বাস ও চালকদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘরের পৌর বাস টার্মিনাল ও পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অভিমুখে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: আনিসুর রহমান চৌধুরী জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে বাস না চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় ফেডারেশনের নির্দেশনা রয়েছে এবং চালকেরাও বাস চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে না দেয়ায় গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া চুয়াডাঙ্গা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘটে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো নারী-পুরুষ। 

চুয়াডাঙ্গা রয়েল পরিবহন মেহেরপুর টু পটুয়াখালীগামী এক জোড়া যাত্রীবাহী বাস চলাচলের জন্য রুট পারমিট নেয়। কিন্তু ঝিনাইদহ মালিক সমিতি তাদের জেলার ওপর দিয়ে গাড়ি চলতে বাধা দেয়। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতি সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝিনাইদহ মালিক সমিতি সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ পথে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন জানান, যত দিন এ সমস্যার সমাধান না হবে তত দিন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, বরিশাল মালিক সমিতির সাথে দ্বন্দ্বে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো ঝালকাঠি থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন ঝালকাঠির বাস মালিক-শ্রমিকেরা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঝালকাঠি থেকে বরিশাল ও খুলনাগামী আট রুটের যাত্রীরা।

ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মীমাংসা হওয়ার পরও পটুয়াখালী-বরগুনা-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি সমিতির বাস চলাচল করতে না দেয়ার প্রতিবাদে ঝালকাঠি থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ঝালকাঠি মালিক-শ্রমিকেরা বাস বন্ধের এ কর্মসূচি শুরু করায় তিন দিন ধরে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটাসহ আট রুটের যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঝালকাঠির মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকের পর এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। 

দূরপাল্লার রুটের শ্যামলী পরিবহনের নওগাঁর কাউন্টার ম্যানেজার মামুন জানান, পরিবহনের মালিক কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টিকিট বিক্রয় বন্ধ রাখতে বলেছে। নিরাপত্তার কারণে বাস শ্রমিকেরা বাস চালাতে চাইছেন না। জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি অলিউল রাজি আশিক জানান, নিরাপত্তার কারণে শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা গাজার বালিতে আটকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী : হামাস মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি

সকল