১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমরা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির পক্ষে লড়াই করবো : বি. চৌধুরী

বাড্ডায় বিকল্প যুব ধারার বিশেষ কাউন্সিলে বি. চৌধুরী, সমশের মবিন চৌধুরী (বাঁয়ে) - নয়া দিগন্ত

বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদৌজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে নেই। এই ষড়যন্ত্রের সাথে নেই বলেই জোট ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির পক্ষে লড়াই করবো। তার রাজনীতির উত্তরাধিকার আমাদের হাতে। উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করবো। সেই উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও থাকবে।

শুক্রবার বাড্ডায় বিকল্প যুব ধারার বিশেষ কাউন্সিলে তিনি একথা বলেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, আলোচনা ছাড়া পৃথিবীর কোথাও সমাধান হয় না। আপনার কাছে দাবি করছে, আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, এটাই সবচেয়ে বড়। আপনি উদারচিত্তে এগিয়ে আসুন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন, গণগ্রেফতার বন্ধ করুন। তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সমালোচনা করে তা এখনই বাতিল করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। সাহসের সাথে অবিলম্বে এই আইন বন্ধ করুন।

বি চৌধুরী সিলেট অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের ব্যাপারে বলেন, সেখানে বিএনপির নেতারা জিয়াউর রহমানের নাম বলেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি দিলেন তার নামটি কেউ বলতে সাহস পাননি। কী মনে হয়? তারা কি আত্মসমর্পণ করেছেন, কার কাছে? এবং কেন? এ দু’টি প্রশ্ন জনগণের মনে থেকে যাবে। তিনি বলেন, ‘সিলেটের জনসভায় ৯৮ ভাগ মানুষ ছিল বিএনপির। বাকি দুই ভাগ অন্য দলের। ওই সমাবেশে উপস্থিত ৭০-৮০ ভাগ নেতা স্বাভাবিক কারণেই শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করেছেন। ধন্যবাদ, যিনি এই দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকে স্মরণ করেছেন নেতারা,এটা স্বাভাবিক।’

বি চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম কেউ বলেননি। মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলার নামও কেউ উচ্চারণ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের মহাধিনায়ক ওসমানীর নামও কেউ উচ্চারণ করলেন না। তাদের কথা বলা উচিত ছিল না? জবাব দিতে হবে কেন বলেন নাই। আপনারা সত্যিই যদি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে থাকেন। আপনাদের যদি সত্যিই স্বপ্ন ছিল এই রঙিন পতাকাকে সম্মান দেখানো। কিন্তু আপনার তা দেখান নাই।

বি চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরও বাস্তবায়ন চাই, আবার মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হকের স্বপ্নেরও বাস্তবায়ন চাই। আমরা উন্নয়ন চাই, গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ চাই।

বিএনপির সঙ্গে ঐক্য না হওয়ার কারণ জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলেছিলাম আপনারা ১৭৫ টি আসন নিন, বাকি সব দলের জন্য ১২৫টি আসন। আমি তো বলিনি বিকল্প ধারাকে ১২৫ আসন দিতে হবে। এই ভারসাম্য যারা অস্বীকার করে, তাদের সঙ্গে কীসের ঐক্য। আমরা ভারসাম্যের রাজনীতি চাই।

আরো পড়ুন : শমসের মবিন চৌধুরী গেলেন বিকল্পধারায়, কারণ কী
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:০০

বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী। বছর তিনেক আগে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ বলে তিনি সরে যান। কিন্তু হঠাৎ করে আবার রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দেওয়ার পর কারণ খোঁজে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

শুক্রবার বিকল্প যুবধারার বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তারা বি চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বিকল্পধারায় যোগ দেওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন এরশাদ সরকারের প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন ও  সাবেক প্রতিমন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।


শসমের মবিন চৌধুরী বছর তিনেক আগে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। ওই সময় তিনি আর রাজনীতি না করার কথাও বলেন। শুক্রবার যোগদান অনুষ্ঠানে শমসের মবিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি যারা করেন তাদের সাথে রাজনীতি করা যায়। তিনি বি. চৌধুরীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

এর আগে ন্যাপ ও এনডিপি’র একটি অংশ বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে এই দুই দলের শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। চিঠিটি তিনি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেন।

এর পরদিন অবসরে যাওয়ার বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে জানান। ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আমি যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে।’

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শমসের মবিন চৌধুরীকে পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৭ সালে তিনি অবসরে যান। ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় লেফটেন্যান্ট ছিলেন তিনি। যুদ্ধে ভূমিকা রাখায় তাকে বীর বিক্রম উপাধি দেওয়া হয়। যুদ্ধাহত হওয়ায় পরবর্তীতে তার চাকরি পররাষ্ট্র দপ্তরে ন্যস্ত হয়।

আরো পড়ুন : একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে সরকার : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৪

সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচনের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তারা (সরকার) নির্বাচনটা করতে চায় একতরফাভাবে। বিরোধী দলগুলো যেন নির্বাচনে না আসে এবং তারা একা একাই ২০১৪ সালের মতো একটা নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। উদ্দেশ্যটা একটাই, বিনা নির্বাচনে সমস্ত বিরোথী দলগুলোকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় যাওয়া। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগন কখনোই এটা মেনে নেবে না এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য, জনগনের অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য নিশ্চয়ই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা বিজয় অর্জন করবে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরে প্রয়াত নেতার আত্মর মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শুধু বিএনপি নেতৃবৃন্দ নয়, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন তাদেরও কারারুদ্ধ করেছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় প্রবক্তা বাংলদেশে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তাকে কারারুদ্ধ করেছে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে এবং কারাগারে বন্দি করেছে। দেশে একটা পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এদের লক্ষ্যই হচ্ছে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। যেটার লক্ষ্যেই তারা চলেছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার যা চাইবে তা করবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না – এটা আমরা বার বার বলেছি, এখনো বলছি। এটা বাস্তবতা এ কমিশনের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

১/১১ পর সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ‘নিষ্ক্রিয়’দের সক্রিয় করা হচেছ বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। সেই সঙ্গে যারা বাইরে ছিলো, নিষ্ক্রিয় ছিলো তারা সক্রিয় হওয়ার আকাংখা পালন করার জন্যই তাদের সকলকে সক্রিয় করা হয়েছে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।

গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১/১১ সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত ১১ জন সাবেক সংসদ সদস্যের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল