১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৭১ আরোহীর প্রাণ বাঁচানোর নেপথ্যের কথা জানালেন পাইলট জাকারিয়া

পাইলট জাকারিয়া - সংগৃহীত

কক্সবাজার বিমানবন্দরের চারপাশে ঘুরেছেন আটবার। অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর প্রদক্ষিণ করেছেন আরও দুবার। ফ্লাইটে থাকা ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু’র জীবন ছিল তার হাতে। ঠান্ডা মাথায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও কৌশল কাজে লাগিয়ে নিরাপদে কক্সবাজারের ফ্লাইট নামিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে।

১৭১ আরোহীর প্রাণ বাঁচানো এই নায়কের নাম এখন মুখে মুখে। তিনি ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মুখে নিজেকে সংযত রেখে কীভাবে ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করালেন, সে বিষয়ে কথা বলেছেন পাইলট জাকারিয়া।

ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হওয়া এবং তার পরেও বার বার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে জাকারিয়া বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বলতে, এটা একটা ইমার্জেন্সি সময় ছিল। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সবচেয়ে বেশি ট্রেইনড করানো হয়। যেভাবে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই অ্যাকশনটা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ থাকলেও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় অবশ্যই পাইলটের কিছু কৌশল থাকে। আমি চেষ্টা করেছি, যতখানি নিরাপদ থাকা সম্ভব এবং কোনো ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়। সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছি।’

বাড়তি কোনো কৌশল অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে জাকারিয়া বলেন, ‘ল্যান্ডিং করতে না পারলে কৌশল হচ্ছে ফুয়েল (তেল) কমাতে হবে। এ সময় ফুয়েল যত কমানো যায় ততই সেফ। ল্যান্ডিংয়ের সময় যদি আগুন লাগে, ফুয়েল না পেলে আগুনের তীব্রতা থাকবে না। এছাড়া এয়ারক্রাফট যতো হালকা থাকবে ঘর্ষণও কম হবে। তাই তেল কমানোর চেষ্টা করেছিলাম।’


বার বার ব্যর্থ হয়ে চট্টগ্রামে যখন সর্বশেষ ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা এসেছে কেবল দায়িত্ববোধ থেকে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার প্রধান দায়িত্ব ছিল, যাত্রীদের কীভাবে সুস্থ ও নিরাপদে নিচে নামানো যায়। সেটাই করেছি। মাথায় যদি অন্য কিছু আনি তাহলে এদিকে মনোযোগ দিতে পারতাম না।’

ল্যান্ডিংয়ের আগে কেবিনের অবস্থা সম্পর্কে ক্যাপ্টেইন বলেন, ‘আমি সবসময়ই কেবিনের ভেতরের সঙ্গে ইন্টারকানেক্টেড থাকি। ভেতরের অবস্থা জেনেছি। তবে নিরাপদে ল্যান্ড করার পর যাত্রীরা যাওয়ার সময় আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা অনেক খুশি।’

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি। এতে ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু ছিলেন। ইউএস-বাংলার জরুরি অবতরণের পর চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ রাখা হয়।

আরো পড়ুন : চট্টগ্রাম শাহ আমানতে দুর্ঘটনায় পতিত ইউএস বাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:০৯

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কক্সবাজারগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি। এরপর থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে সকল ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানটি জরুরি অবতরণের সময় সামনের চাকাটি সচল ছিল না। ভাগ্যক্রমে বিমানটিতে আগুন ধরেনি। তবে বিমানের ভেতরে থাকা সাত যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক নয়।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করে, ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর সামনের চাকায় ত্র“টি দেখা দেয়। ফলে এটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। অবতরণের সময় বিমানটির সামনের দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিটকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে বলে জানায় যাত্রীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল