২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ দাফনের ৬দিন পর জীবিত উদ্ধার

নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ দাফনের ৬দিন পর জীবিত উদ্ধার - সংগৃহীত

গত ৬ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ব্যাক্তির লাশ শনাক্ত করে দফন করার পর গত বৃহস্পতিবার সেই ব্যাক্তিকে নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জীবনশঙ্কার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় জিডি করে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন মোঃ আসাদুল্লাহ; একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর তাকে আসাদুল্লাহ হিসেবে শনাক্ত করে দাফন শেষে মামলা করেছিল পরিবার। সেই আসাদুল্লাহকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ। 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, এক রিকশাওয়ালা বৃহস্পতিবার রাতে আসাদুল্লাহকে থানায় নিয়ে আসেন। আসাদুল্লাহর দাবি, তাকে কেউ নারায়ণগঞ্জে ফেলে রেখে গেছে। ``তাকে ডাক্তার দেখিয়ে আমরা সরাইল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি সুস্থ আছেন। তাকে গুম করে হত্যা করার অভিযোগে সরাইল থানায় একটি মামলা আছে।”

ঘটনার শুরু গত ৫ অগাস্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাসিন্দ আসাদুল্লাহ সেদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সেখানে বলা হয়, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাপ্তান মিয়ার সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে তারা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

এরপর ৯ অগাস্ট সরাইলের উচালিয়া পাড়ার গ্যাসফিল্ড রাস্তা থেকে আসাদুল্লাহকে তুলে নিয়ে ‘গুম’ করা হয়েছে অভিযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন তার মেয়ে মোমেনা বেগম। সেখানেও আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই দুইজনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ৬ সেপ্টেম্বর অরুয়াইল ও সরাইল থানার মাঝামাঝি এলাকার চুন্টা কৈবর্তপাড়ার একটি বিল থেকে অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করলে সেটি আসাদুল্লাহর লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্তের পর সেই লাশ নিয়ে গিয়ে তারা গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন।

দাফনের পরদিন আসাদুল্লাহকে অপহরণের পর হত্যা এবং লাশ বিলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এনে সরাইল থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মোমেনা। সেখানে শফিকুল ইসলাম ও কাপ্তান মিয়াসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।

জিডি হওয়ার এক মাস ১০ দিন পর আসাদুল্লাহর খোঁজ মিললে মোমেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “শুনেছি নারায়ণগঞ্জে আব্বাকে নাকি পাওয়া গেছে। আব্বা এখন পুলিশের কাছে আছে। আমরা এখন গ্রামের বাড়িতেই আছি।”

সরাইল থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “আসাদুল্লাহ ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তাকে নারায়ণগঞ্জে পাওয়া গেছে। তাকে আনার জন্য ফোর্স পাঠিয়েছি।” ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরাইল থানার এসআই জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, “সোনারগাঁও থানা হেফাজতে থাকা আসাদুল্লাহর সাথে মোবাইলে আমার কথা হয়েছে, সে আসাদুল্লাহই। আমরা সেখানে যাচ্ছি।”

আসাদুল্লাহকে ‘গুমের’ মামলার প্রধান আসামি শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, ‘নাটকীয়’ এ ঘটনার সঙ্গে তৃতীয়পক্ষ জড়িত।

তিনি বলেন, “অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও তার সহযোগীরা মিলে আসাদুল্লাহকে নিয়ে নাটক সাজিয়েছে। বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে আসাদুল্লাহ নামে দাফন করার সঙ্গেও তারা জড়িত।” শফিকুল বলছেন, তিনি ‘দুর্নীতির’ প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোশাররফ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। একই ধরনের কথা বলেছেন মামলার আরেক আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাপ্তান।

তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, কিন্তু লাশের রাজনীতি করি না। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে দমিয়ে রাখতে মোশাররফ এই নাটক করিয়েছে। হয়রানি করার জন্য আমরা দায়ীদের শাস্তি চাই।”

তাদের এই অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ বলেন, “কারও সঙ্গে আমার খারাপ সম্পর্ক নেই। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আমি সব সময়ই সচেষ্ট। কেন তারা আমাকে জড়িয়ে কথা বলছে আমি বুঝতে পারছি না।”


আরো সংবাদ



premium cement
মাকে ভরণ-পোষণ না দেয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ায় রুশ গোয়েন্দা প্রধান বদলে যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার নাম সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের

সকল