২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

 ‘আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাহিরে?’

মতিঝিলে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা - ছবি: শহিদুল হক রাজী

রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা তৃতীয় দিনের মতো বিভিন্ন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর সর্বত্র।

 সকাল ১০টার দিকে র‌্যাডিসন হোটেলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন। ‘ আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাহিরে?’ , ‘আমার বোন কবরে, খুনিরা কেন হাসে?’।

অন্যদিকে একই সময় ফার্মগেট এলাকায় বাবুল টাওয়ারের সামনে সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ স্থানীয় কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।

সাইন্সল্যাব এলাকায় সিটি কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। তারা নিরাপদ সড়ক ও কলেজ শিক্ষার্থীদের হত্যাকারী চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে নটরডেম ও মতিঝিল আইডিয়েল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসে।

গত রোববার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম।

ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।

এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

ওই ঘটনায় সোমবারও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের দুই দিক অবরোধ করে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়।

এছাড়া গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে। 

 

আরো পড়ুন: বাসের চাপায় প্রাণ গেল ২ শিক্ষার্থীর

নয়া দিগন্ত অনলাইন ২৯ জুলাই ২০১৮


রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১০ জন আহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ছাত্রী বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম জানা যায়নি।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল র‌্যাডিসনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের কারণে রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

হোটেল র‌্যাডিসনের কাছেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।

এ সময় সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয় বলে ক্যান্টনমেন্ট থানার এএসআই রেজাউল ইসলাম জানান।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা র‌্যাডিসনের গ্যাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন, অনেকে বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।

সহপাঠিদের মৃত্যুর খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুরও চালায়।

জাবালে নূর (ঢাকা মেট্রো ব-১১৯২৯৭) পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। বাসের সুপারভাইজারকে শিক্ষার্থীরা আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, বিক্ষোভের কারণে যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।


আরো পড়ুন: বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু : তৃতীয় দিনের মতো রাস্তায় বিক্ষোভ

নয়া দিগন্ত অনলাইন ৩১ জুলাই ২০১৮, ১২:২৩

রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা তৃতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার র‌্যাডিসন হোটেলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর পরপরই ফার্মগেইট বাবুল টাওয়ারের সামনে স্থানীয় কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে যান চলাচল থমকে যায়।

জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কেরজিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম।

ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।

এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

ওই ঘটনায় সোমবারও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের দুই দিক অবরোধ করে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়।

এছাড়া গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তাদের তুলে দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান

সকল