১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের এক হোটেল সংস্কারেই ৬২০ কোটি টাকা !

নবরূপে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। - ছবি: বাসস

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমাহারে সাজানো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, বাংলাদেশ সার্ভিস লি. (বিএসএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বের হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিলো এ দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। স্থপতি উইলিয়াম বি ট্যাবলারের চমৎকার নকশার এ হোটেলটি আজও চমৎকার স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন। এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামেই চলে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত।

এরপর স্টারউড কোম্পানির সাথে চুক্তি হওয়ায় ১৯৮৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা শেরাটন হোটেল নামে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। শেরাটনের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘রূপসী বাংলা হোটেল’ নামে এটি পরিচালিত হয়।

২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হোটেলটির মালিক কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস গ্রুপ (এশিয়া প্যাসিফিক) প্রাইভেট লিমিটেডের (আইএইজি) সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের পর ২০১৫ সালের মার্চে সংস্কারকাজ শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রূপসী বাংলা হোটেলে কক্ষ ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭২টি। সংস্কারের পর করে সংখ্যা কমে ২৩১টিতে দাঁড়িয়েছে। আয়তনের দিক থেকে কক্ষের আকার দাঁড়িয়েছে ২৬ থেকে ৪০ স্কয়ার মিটার। বিশ্বমানের অতিথি সেবা নিশ্চিত করতে পরিবর্তন করা হয়েছে সুইমিং পুল ও ডাইনিং হলের স্থান।

এর আগে হোটেলটির বলরুম ছিল একদিকে, উইন্টার গার্ডেন নামে সবচেয়ে বড় হলরুমের অবস্থান ছিল আরেক দিকে। এখন দুটি এক করে দেয়া হয়েছে। হোটেলটির মূল ফটকও সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ভেতরের সুইমিং পুলটিও স্থানান্তর করে সাজানো হয়েছে নতুন করে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় নিয়ে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। সংস্কার কাজে প্রায় ৬২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

১৯৭১’র ২৫ মার্চের কালোরাতে জীবন বাজি রেখে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার ছবি ধারণ করেছিলেন হোটেলে অবস্থানরত বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালি ও সাইমন ড্রিং, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধান আর্নল্ড জেইটলিন, ক্লেয়ার হলিংওর্থ, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ডেভিড গ্রিনওয়ে। এসব ছবির মাধ্যমে বিশ্ব জানতে পেরেছিলো বাংলাদেশ কী নৃশংসতার স্বীকার হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে শিগগিরই হোটেলটি বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

 

আরো পড়ুন: মহাকাশে বিলাসবহুল হোটেল!

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এক দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় দেখতে চান? মহাশূন্যে ভেসে বেড়াতে চান? মহাশূন্যে থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখায়, সে অভিজ্ঞতা নিতে চান? আর মাত্র চার বছর ধৈর্য ধরুন। গুছিয়ে ফেলুন ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার। এই টাকা খরচ হবে বিশ্বের প্রথম বিলাসবহুল মহাকাশ হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিল হিসেবে। হোটেলের নাম ‘অরোরা স্টেশন’।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে অনুষ্ঠিত স্পেস ২.০ সম্মেলনে ওই মহাকাশ হোটেল তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকার মহাকাশ প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন স্প্যান ওই হোটেল তৈরি করবে। ১২ দিনের মহাকাশ সফরে এখানে দু’জন ক্রু সদস্যসহ একসঙ্গে ছ’জন থাকতে পারবেন। ২০২২ সালে প্রথম অতিথি হিসেবে সেখানে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

ওরিয়ন স্প্যানের প্রধান কর্তা ফ্র্যাঙ্ক বাংগার বলেন, সবার জন্য মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্য তাদের। মহাকাশে হোটেল চালুর পরপরই কম খরচে সেখানে সবাইকে থাকার সুযোগ দেয়া হবে। দুই সপ্তাহের ভ্রমণে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচের বিষয়টি অনেকের কল্পনা বাইরে। তবে ওরিয়ন স্প্যানের দাবি, সত্যিকারের মহাকাশচারীর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে এতে।

বার্গনার বলেন, মহাকাশ স্টেশনে যেতে নভোচারীদের ২৪ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু তারা একে তিন মাসে নামিয়ে এনেছেন। ১২ দিনের এই রোমাঞ্চকর যাত্রায় পর্যটকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ২০০ মাইল উপরে লো আর্থ অরবিটে (এলইপি) উড়বেন। সেখান থেকে পৃথিবীর চমৎকার দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এই হোটেল পৃথিবীকে প্রতি ৩০ মিনিটে প্রদক্ষিণ করবে। অর্থাৎ হোটেলের অতিথিরা প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।

হোটেলে বসে অতিথিরা খাবার উৎপাদনের মতো গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন। এসব খাবার তারা উপহার হিসেবে পৃথিবীতে সাথে নিয়ে আসতে পারবেন। উচ্চগতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সিস্টেম থাকবে সেখানে। সরাসরি পৃথিবীতে লাইভ ভিডিও চ্যাট করা যাবে। এ ছাড়া পৃথিবীতে ফেরার পর তাদের বিশেষ সম্মান জানানো হবে। ভরশূন্য অনুভূতির মজা নেয়া ছাড়াও অতিথিরা মুক্তভাবে হোটেলের ভিতর ভেসে থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু প্রভার দৃশ্য দেখতে পারবেন। যারা এই সুযোগ হারাতে চান না, তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিতে শুরু করেছে ওরিয়ন স্প্যান। ৮০ হাজার ডলার দিয়ে আগাম বায়না করে রাখতে হবে। তবে পরে যদি কেউ পুরো অর্থ না দিতে পারেন, তবে ওই অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

অবশ্য মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিতে ওরিয়ন স্প্যানের মতো আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অ্যাক্সিওম স্পেস। টেক্সাসের ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সাবেক এক কর্মকর্তা। ২০২৪ সালে একটি বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশন চালু করবে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তারা এখনও খরচের কথা প্রকাশ করেনি। তবে আগে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে মহাকাশ ভ্রমণ করা ডেনিস টিটোর চেয়ে তখন মহাকাশ ভ্রমণে খরচ কম হবে বলেই জানিয়েছে তারা। ২০১৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণকারীদের পৌঁছে দেবে এক্সিওম। পরে নিজেদের স্টেশনে যাত্রী নিয়ে যাবে।

অবশ্য মহাকাশ ভ্রমণে খরচ যা-ই হোক, যাত্রী খুব কম পাওয়া যাবে। তবে বার্গনার বলছেন, অরোরা স্টেশন শুধু হোটেল হিসেবে কাজ করবে না। এটি মহাশূন্যে ভরশূন্য অবস্থায় বিভিন্ন গবেষণা ও মহাশূন্যে কারিগরি কাজে মহাকাশ সংস্থাগুলোর জন্য কাজ করবে। বর্তমান বাজার চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও সুবিধা ওরিও স্প্যানে বাড়ানো যাবে বলেই জানিয়েছেন বার্গনার।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, বেড়েছে মেয়াদ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূস কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রমিজ খানের ইন্তেকাল দরিদ্রতম দেশগুলোর উন্নয়ন ঐতিহাসিক মাত্রায় বিপরীতমুখী : বিশ্ব ব্যাংক ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫ দেশকে অপশাসন মুক্ত করতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : ড. রেজাউল করিম ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে : ইসরাইলের সেনা প্রধান সাভারে দর্জির দোকানে এসি বিস্ফোরণ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ইরান-ইসরাইলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মোড়, এখন যা হবে

সকল