২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

চট্টগ্রামকে সত্যিকারের গ্রিন, ক্লিন সিটি করতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে : মেয়র নাছির

-

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে সত্যিকারের গ্রিন, ক্লিন সিটি তথা আধুনিক নগরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেয়র জানান, নগরবাসীর সংখ্যা এবং বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়লেও নগরীর এক হাজার ৩৭৫টি খোলা ডাস্টবিন থেকে ৮২৫টি অপসারণ করা হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে বর্জ্য অপসারণ করছি। আমরা ৯ লাখ বিন বিতরণ করেছি। ১৯৭২ জন পরিচ্ছন্ন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু জনগণকে সচেতন করতে না পারলে সত্যিকারের ক্লিন সিটি করা খুবই কঠিন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে আন্দরকিল্লাস্থ করপোরেশনের কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এস আলম গ্র“পের মাধ্যমে নগরীর গণপরিবহন সঙ্কট কাটাতে তিন রঙের ১০০ এসি বাস চালু করা হচ্ছে। আশা করি জানুয়ারিতে ৩ রুটে এসব বাস চালু হবে। এখন এসব বাসের থামার জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়নের কুফল নগরবাসী ভোগ করছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিমানবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নিয়েছি। এখানে বন্দরের জমি লিজ নিয়ে অনেক জ্বালানি স্থাপনা ও তৈলাধার গড়ে তোলা হয়েছে; যা সরানো কঠিন কাজ। সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত দুই পাশে ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে। জাইকার অর্থায়ন ও ডিজাইনে হচ্ছে পোর্ট কানেকটিং ও এক্সেস রোডের কাজ। নিমতলা থেকে অলঙ্কার পর্যন্ত ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার পোর্ট কানেকটিং সড়ক। এক্সেস রোডের কাজে এলইডি লাইটিং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আরাকান সড়কের কাজ ১২টি লটে চলমান আছে। কম সময়ে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
শুষ্ক মৌসুম কাজ করার উপযুক্ত সময়। এ সময়টা কাজে লাগাতে সচেষ্ট আমরা। জাইকা নিজস্ব স্টাইলে কাজ করে। যতক্ষণ কাজ চলে জাইকার লোক থাকে। পোর্ট কানেকটিং সড়কের কাজ শেষ করতে আরো সময় লাগবে। কাজগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নগরের ৯৫২ কিলোমিটার সড়ক বা ৮০ ভাগ আলোকায়নের আওতায় আনা হয়েছে। এক হাজার ৩০৪ কিলোমিটার সড়কে ৬৪ হাজার ৬৮৩টি এলইডি বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সেনাবাহিনী জায়গাটি শিশুপার্ক করার জন্য চসিককে দিয়েছিল। শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে চসিকের চুক্তিটা নবায়নযোগ্য। তাদের আধুনিক রাইডের শর্ত দিয়েছি। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তারা আধুনিক রাইড সংগ্রহ করছে। আগ্রাবাদ শিশুপার্ক নিয়ে মামলা চলছে। এ ছাড়া সাড়ে তিন শ’ মামলা চলছে বিভিন্ন বিষয়ে।
এ সময় কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব আবুুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement