২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আলোচনা সভায় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রাসকিন প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব

-

বাংলাদেশে বছরে দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হয় এবং বছরে ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ মারা যায়। ক্যান্সারের বিস্তৃতির তুলনায় চিকিৎসা সামর্থ্য এখনো অপ্রতুল। তাই ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে রয়েছে প্রাথমিক প্রতিরোধ, সূচনাতেই ক্যান্সার সনাক্ত করা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া, জটিল রোগীদের জন্য প্রশমন সেবার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন শুধু জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার রোগীকে সুস্থ করাও সম্ভব। তিনি ক্যান্সারের ৭টি লক্ষণ বা বিপদ সঙ্কেতের যেকোনোটি দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে বলেন।
তিনি বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে শুধু চিকিৎসার পেছনে ব্যয় না করে সচেতনতা সৃষ্টিতেও ব্যয় করতে হবে। ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে তিনি বলেন, সেসব হাসপাতাল যেন শুধু চিকিৎসানির্ভর না হয়।
চট্টগ্রামে ক্যান্সার সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণমূলক আলোচনা সভায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা: হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম ক্যান্সার সচেতনতা সহায়ক কেন্দ্র এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি মুখ্য আলোচক ছিলেন। আলোচনায় আরো অংশ নেন বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা: মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: বাসনা মুহুরী, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: শাহানা জাহাঙ্গীর, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, ডা: নাহিদা খানম মিতু, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি মোর্শেদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইদ্রিস।
ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, ক্যান্সার মারণ ব্যাধি। এই রোগে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। আমার শাশুড়িও এ রোগের সাথে লড়াই করছেন। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত পরিবারের কষ্টগুলো আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং এখনো করছি। এই উপলব্ধি থেকেই আমার চাওয়া আর কোনো সন্তান যেন এই মারণ ব্যাধিতে তার মাকে না হারান। এ জন্যই ক্যান্সার সচেতনতায় আমার এ উদ্যোগ। প্রসঙ্গত ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির মা নিলুফার কায়সারের ১০ মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এই সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement