ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যার বিচার এ দেশে একদিন হবেই : ডা: শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা শহীদ নুরুল আলম নুরু ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজপথের অকুতোভয় সৈনিক ও দক্ষ সংগঠক। তিনি জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল গঠনের মাধ্যমে সরকারের নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতায় নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত থাকতেন। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বিএনপি গঠনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সেদিন নুরুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল। নুরু হত্যাকাণ্ডে সারা দেশের মানুষ সেদিন শিউরে উঠেছিল। নুরুর হত্যাকাণ্ড কোনো স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যার বিচার এ দেশের মাটিতে একদিন হবেই।
তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে নুরুল আলম নুরুর দ্বিতীয় শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে নুরু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে ডা: শাহাদাত আরো বলেন, সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণের আশ্রয় নিয়ে দেশকে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বিএনপির সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু শত জুলুম নির্যাতন করা সত্ত্বেও বিএনপিকে দমাতে পারবে না।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সারা দেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল নেতা নুরুকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মদদে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে ব্যাহত করতে নুরুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ নুরুল আলম নুরু রাষ্ট্রীয় রোষানলে পড়া সত্ত্বেও তার নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। তিনি সাহসিকতার সাথে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে তার নির্ভীক নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও নুরু স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, নুরু হত্যাকাণ্ড আওয়ামী শাসনের পৈশাচিকতার নির্মম নিদর্শন হিসেবে বাকশালের স্বরূপ তরুণ প্রজন্মের কাছে উন্মুচিত হয়েছে। সরকারি মদদে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার জনগণ কখনো পায়নি।
নুরুল আলম নুরুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আসর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে শহীদ জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও নুরুল আলম নুরুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।
ছাত্রদল নেতা মো: সরওয়ার উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো: ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, শাহেদ বক্স, সামসুল হক, কামরুল ইসলাম, মনজুর রহমান চৌধুরী, আবদুল হালিম স্বপন, মো: ইদ্রিস আলী, জাকির হোসেন, মো: মোরসালিন, মাঈনুদ্দিন মাহমুদ, জাফর আহমেদ চৌধুরী, শফিউল জামান, এম রফিকুল ইসলাম, মো: কামাল মেম্বার, নিজাম উদ্দিন, এম ইলিয়াছ আলী, আবু বকর সোহেল, এস এম মহিউদ্দিন মাসুদ, এরশাদ হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, ইউছুপ তালুকদার, আসাদুর রহমান টিপু, সাইদ আমান, নিজাম উদ্দিন খান, নিজাম উদ্দিন লিটন, ওয়াসিম রেজা, অ্যাডভোকেট মাঈনুদ্দিন প্রমুখ।