চট্টগ্রাম চেম্বারে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি নৌসংযোগ স্থাপনে থাই সরকার কাজ করছে
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
থাইল্যান্ডের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চমতাসম্পন্ন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বারের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় থাইল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলনেতা মানু সিথিপ্রসাসানা, থাই বিনিয়োগ বোর্ডের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট কর্মকর্তা অপিপং কুনাকর্নবডিন্টার, চেম্বার সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নেতা মানু সিথিপ্রসাসানা বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন, পারস্পরিক সুযোগ-সুবিধা অন্বেষণ করা এবং মতবিনিময়ের মাধ্যমে সুবর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন এ সফরের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন। প্রতিনিধিদলনেতা চট্টগ্রামের সাথে থাইল্যান্ডের সরাসরি নৌপথের সংযোগ স্থাপনে থাই সরকার কাজ করছে বলে জানান। ফলে উভয় দেশ দণি এশিয়ার অর্থনৈতিক করিডোরের সাথে সংযুক্ত হবে এবং জাহাজে পণ্য চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম গত বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী পণ্যের নিয়মিত প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এ েেত্র ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং রফতানি ঝুড়িতে নিত্যনতুন অন্তর্ভুক্ত পণ্য আমদানি বৃদ্ধির আহ্বান জানান। এ ছাড়া র্যানং পোর্টের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরুর মাধ্যমে আমদানি-রফতানিতে সময় ও ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব হবে। প্রতিনিধিদল মতবিনিময় শেষে বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং রফতানিপণ্যের এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।