২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অগণন খানাখন্দে ভরা বন্দরনগরী বেহাল সড়কে মানুষের দুর্বিষহ জীবন

-

অগণন খানাখন্দে বেহাল চট্টগ্রামের সড়কগুলো। তাই এ নগরীতে বসবাসকারী মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত ঈদের আগে সড়ক ঠিক হবে এমনটি আশা করলেও নগরবাসীর সে আশা পূরণ হয়নি।
মহানগরীর ব্যস্ততম বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়ক, বহদ্দারহাট-শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক, চট্টগ্রাম-কাপ্তাইসড়ক, পোর্ট কানেক্টিং সড়কসহ অলি-গলির সড়কগুলোর অবস্থা এখন বেহাল। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে মূলত আন্তঃসংস্থা সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াগত সমস্যা এই জনদুর্ভোগের জন্য দায়ী। চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে মূলত সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপ সরাসরি জড়িত। এর বাইরে রয়েছে ওয়াসা, বিপিডিবি, বিটিসিএলসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন বিদ্যমান সড়কের সংস্কারসহ পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। অপর দিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপরে (সিডিএ) কাজ হলো নতুন সড়কসহ অবকাঠামো উন্নয়নে নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন এবং নতুন সড়ক নির্মাণ করে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। তা ছাড়া সারা বছর খোঁড়াখুঁড়ি এবং কাজ সারার পর তা সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়ায় সড়কের ভালো অংশেও খানাখন্দকের সৃষ্টি হচ্ছে।
দণি চট্টগ্রাম গমনাগমনকারী মানুষগুলোকে অগণন খানাখন্দে ভরা সড়ক দিয়েই বহদ্দারহাট হতে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক পার হতে হচ্ছে। এতে এক দিকে বাড়ছে যানজট, অন্য দিকে প্রতিনিয়তই নষ্ট হচ্ছে যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি। মানুষের নিত্য ভোগান্তির তো অন্তই নেই।
বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কের অবস্থা আরো নাজুক। সড়কের একপাশ দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যে অংশটি যানবাহনের জন্য খোলা রয়েছে তা যেন নরক যন্ত্রণাময় অগণন গর্তে ভরপুর একটি গ্রামীণ সড়কের মতো।
কালুরঘাট এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, খানাখন্দে ভরা সড়ক দিয়ে গমন করতে গিয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। যানজটের পাশাপাশি মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, সড়কটির দুইপ্রান্ত একমুখী গাড়ি চলাচলের কথা থাকলেও একপ্রান্তের অবস্থা নাজুক হওয়ায় অন্যপ্রান্ত দিয়ে উভয়মুখী গাড়ি চলাচল করছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলেও তিনি জানান।
এ দিকে নগরীর চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট সড়ক, বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট ও জিইসি মোড়ের সড়কগুলোতেও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অসংখ্য গর্ত। এ ছাড়া পোর্ট কানেক্টিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডসহ মহানগরীর অলিগলি খানাখন্দে ভরে গেছে।
অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পর ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ। এই সড়ক দিয়ে সীমিত সংখ্যক যানবাহন চললেও গতি অত্যন্ত মন্থর। এ ছাড়া পোর্ট কানেক্টিং সড়কটিতে নিয়মিত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজুক।
এ রোডের অবস্থা এতই নাজুক যে, নিয়মিত যাতায়াতকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সর্বণ জীবন ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে গাড়ি চলাচল করছে। বিশালাকার গর্ত সড়কজুড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই সড়ক এড়িয়েই তাকে চলাচল করতে হচ্ছে। মহানগরীর এসব সড়ক দেখভালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হলেও নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে করপোরেশনের প হতে দ্রুত এবং কার্যকরী উদ্যোগও দৃশ্যমান নয় এমন অভিযোগ নগরবাসীর।


আরো সংবাদ



premium cement
আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে

সকল